পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে নারী-শিশু ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের বিচার ও সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ৫ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের দাবিতে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালে শহরের জিমনেশিয়াম থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রধান ফটকে সমাবেশে মিলিত হয়। সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি সরকারি কলেজে শিক্ষার্থী বিকাশ চাকমা, কিকো দেওয়ান, শিপন চাকমা, উকাচিং মারমা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের রোকন চাকমা ও সংস্কৃতিকর্মী বিজ্ঞান্তর দেওয়ান।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, খাগড়াছড়ির রামগড়, রাঙামাটি সদর, বন্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড়ি নারী-শিশুরা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। আগের ঘটনাগুলোর বিচার না হাওয়ায় দিন দিন ধর্ষণেরর ঘটনা বেড়েই চলছে। পাহাড়ের নারীরা এখনও নিরাপদ নয়। ধর্ষণের সব ঘটনার দ্রুত বিচার করতে হবে।
সমাবেশে শিক্ষার্থী বিকাশ চাকমা, কিকো দেওয়ান বলেছেন, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিসহ সব গ্রেডের সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ কোটা পুনর্বহাল করতে হবে। গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান ও সদস্য হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি ১৯০০ রেগুলেশন বহাল করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাস্তিমূলক বদলির জোন হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তকে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সঠিক ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পাহাড়ের স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। ক্রীড়াঙ্গনে দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ, মাদকমুক্ত যুব সমাজ গড়তে ক্রীড়া
খাতে সরকারি অর্থ বরাদ্দ বাড়াতে হবে। পাহাড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট নিরসন করতে হবে এবং প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে স্ব-স্ব মাতৃভাষায় শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।