রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের আশ্বাসে ৩৮ ঘণ্টা পর অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো। রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে মতবিনিময় সভা শেষে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দেন মালিক ও শ্রমিকরা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, সদর সেনা জোনের কমান্ডার লে. কর্নেল মো. এরশাদ হোসেন চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ এবং সিএনজি-বাস-ট্রাক শ্রমিক মালিক সমিতির নেতারা। এ সময় পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা তাদের দাবি উপস্থাপন করেন। তারা জানান বাস-সিএনজি অটোরিকশা ও ট্রাকের কয়েকজন শ্রমিক আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের উন্নত চিকিৎসাসহ গাড়ির ক্ষতি পূরণ দেওয়ার দাবি জানান।
সভা শেষে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘সিএনজি অটোরিকশা-বাস ও ট্রাক শ্রমিকদের মধ্যে যারা আহত হয়েছেন, তাদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। সেসব পরিবহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মন্ত্রণালয়ে ক্ষতি পূরণের বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হবে। সহায়তা প্রাপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তবে ৭২ ঘণ্টার অবরোধ এখনও চলমান আছে। যা সোমবার শেষ হওয়ার কথা। অবরোধ ও ধর্মঘটের ফলে জেলায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। অবরোধ শেষ হওয়ার পর আগের মতোই সব ধরনের পরিবহন চলাচল করবে।’
এর আগে রাঙামাটিতে সংঘর্ষের ঘটনায় বাস, সিএনজি অটোরিকশা, ট্রাক ভাঙচুর, শ্রমিক আহতের ঘটনার প্রতিবাদ, সুষ্ঠু সমাধান ও ক্ষতিপূরণ না পাওয়া পর্যন্ত শনিবার সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় জেলা পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। হামলায় তাদের ১০টি ট্রাক, তিনটি বাস এবং অসংখ্য অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। এতে সাত জন চালক গুরুতর আহত হন।