চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া এক্সেস রোড এলাকায় প্রাইভেটকারে গুলি চালিয়ে দুজনকে হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (২ এপ্রিল) মধ্যরাতে ফটিকছড়ি থেকে একজনকে ও চান্দগাঁও থানা এলাকা থেকে আরেকজনকে গ্রেফতার করা হয়।
তারা হলেন—মো. বেলাল ও মো. মানিক। বেলাল খাজা রোডের বাদামতল এলাকার মো. রফিকের ছেলে। মানিক ফটিকছড়ির কাঞ্চননগর এলাকার মৃত আবুল হাশেমের ছেলে। বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, ‘ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।’
পুলিশ জানায়, গত ২৯ মার্চ রাত পৌনে ৩টার দিকে নগরের বাকলিয়া এক্সেস রোড এলাকায় চার-পাঁচটি মোটরসাইকেল থেকে আট-নয় জন লোক এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে চট্টগ্রামের সন্ত্রাসী সারোয়ার হোসেন বাবলাকে বহনকারী প্রাইভেটকার ঝাঁঝরা করে ফেলে। এতে সারোয়ারের প্রাইভেটকারচালক বখতিয়ার হোসেন মানিক (৩০) ও তার সহযোগী আবদুল্লাহ আল রিফাত গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তবে অক্ষত ছিলেন সারোয়ার ও তার সহযোগী রবিউল ইসলাম রবিন, ইমন ও হৃদয়। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ রবিন ও রবিউল হোসেন হৃদয় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তবে সারোয়ার ও ইমন কোথায় চিকিৎসা নিচ্ছেন, তা জানা যায়নি। নিহত ও আহতরা সবাই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রবিন জানিয়েছিলেন, হামলাকারীদের টার্গেট ছিল প্রাইভেটকারে থাকা সারোয়ার হোসেন। মূলত তাকে হত্যার জন্য এভাবে গুলি চালানো হয়। এতে সারোয়ারের প্রাইভেটকার চালক মানিক এবং তার সহযোগী আবদুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। হামলাকারীদের চিনতে না পারলেও সম্প্রতি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেনের লোকজন এর সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করছেন রবিন।
এ ঘটনায় ১ এপ্রিল দুপুরে নগরের বাকলিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত বখতিয়ার হোসেন মানিকের মা ফিরোজা বেগম। মামলায় সাত জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ছয়-সাত জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে বেলাল ও মানিককে গ্রেফতার করা হলেও এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মো. হাছান (৩৬), মোবারক হোসেন ইমন (২২), খোরশেদ (৪৫) ও রায়হান (৩৫)।