লক্ষ্মীপুরে একটি মারামারির ঘটনায় ঘটনাস্থলে না থাকলেও আব্দুস শহীদ বেছা নামে এক দিনমজুরকে মামলার আসামি করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৪ মে) দুপুরে জেলা শহরের একটি পত্রিকা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ অভিযোগ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- মো. শাহজাহান, জোসনা বেগম ও মো. শফিক।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শাহজাহান নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা-কাটাকাটির জেরে মারামারির সূত্রপাত ঘটলেও তাকে আসামি করা হয়। পরে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শহীদসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করে পারুল বেগম নামে এক নারী। ঘটনাস্থল না থাকলেও শহীদকে মামলার প্রধান আসামি করা হয়। এতে গ্রেফতার আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।
ভুক্তভোগী শহীদ সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের গন্ধব্যপুর গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে ও পেশায় দিনমজুর।
জানা গেছে, শনিবার (১০ মে) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের গন্ধব্যপুর গ্রামে বউ বাজারে মামলার বাদী পারুলদের সঙ্গে আবুল কালাম ও শফিক উল্যাদের মারামারির ঘটনা ঘটে। পারুল ও শফিকদের মধ্যে জমিসংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে।
আব্দুস শহীদ বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি চিলাদি গ্রামে ছিলাম। মারামারির খবর শুনে ঘটনাস্থল এসে দেখি কেউ নেই। মারামারি শেষ। পরে আমি বাড়িতে চলে যাই। এরপরও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে ফাঁসানোর জন্য মামলার আসামি করা হয়েছে। আমি ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই।’
শাহজাহান বলেন, ‘আনিস নামে একটা ছেলে আমার মোবাইল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ নিয়ে আমার সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়। এটি ঘটনার সূত্রপাত ছিল। এ সময় স্থানীয় শফিক উল্যা আমার পক্ষে কথা বলে। এরপরই আনিস ও তার বোন পারুলসহ লোকজন শফিকের ওপর হামলা করে। পরে উভয়পক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। তবে মারামারির সময় শহীদ ঘটনাস্থল ছিল না। সে অনেক পরে ঘটনাস্থল আসে।’
এ ব্যাপারে পারুল বেগমের বক্তব্য জানতে তার ছেলে ফারুক হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফয়জুল আজিম বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। আদালত থেকে এখনও কোনও নির্দেশনা পাইনি।’
প্রসঙ্গত, গত ১০ মের মারামারির ঘটনায় ১৩ মে গন্ধব্যপুর গ্রামের কামাল হোসেনের স্ত্রী পারুল বেগম বাদী হয়ে আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালত ঘটনাটি আমলে নিয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানাকে এফআইআর দাখিলের নির্দেশ দেয়।