X
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
১৭ বৈশাখ ১৪৩১

সিডলেস লেবু চাষে লাখপতি শহিদুল

ফরিদপুর প্রতিনিধি
২৫ আগস্ট ২০২১, ১৭:৪৯আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২১, ১৭:৪৯

সিডলেস তথা বীজবিহীন লেবু চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন ফরিদপুরের বোয়ালমারীর শহিদুল ইসলাম। আয় করেছেন লক্ষাধিক টাকা। উপজেলার ময়না ইউনিয়নের বর্নিচর গ্রামে শহিদুলের লেবু বাগান দেখতে এখন প্রতিদিনই আসছেন লেবুচাষে আগ্রহীরা।

সিডলেস লেবুতে লাভ বেশি তাই অন্য ফসলের পাশাপাশি কৃষকরা এ লেবু চাষে ঝুঁকছেন। উদাহরণ হিসেবে শহিদুলতো আছেনই। কারণ, এ লেবু চাষ করে মাত্র তিনবছরেই লাখ টাকা আয়ের পথ তৈরি করেছেন তিনি।

জানা গেছে, ২০১৯ সালে ১৫০ শতাংশ জমিতে ৮০০টি সিডলেস লেবুর কলম চারা রোপ করেন। চারা কেনা, রোপ, জমি তৈরি, সেচ ও সারসহ প্রথম বছর প্রায় আড়াই লাখ টাকা খরচ হয় শহিদুলের। পরের বছর ফলন আসতে শুরু করে।  ২০২০ সালে প্রায় এক লাখ টাকার লেবু বিক্রি করেন শহিদুল। ২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত বিক্রি করেছেন আড়াই লাখ টাকার

শহিদুল ইসলাম বলেন, এবছর লেবুর দাম কম দাম পেলে তিন-চার লাখ টাকার লেবু বিক্রি হতো। সপ্তাহে এমনিতে প্রায় সাত-আট হাজার টাকার লেবু বিক্রি হয়। সেই হিসাবে মাসে আসছে ৩০-৩৫ হাজার টাকা।

শহিদুল ইসলামের বাগানের লেবু

শহিদুলের সফলতা দেখতে প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ আসছেন। অনেকেই পরামর্শ নিচ্ছেন সিডলেস লেবুর বাগান করার

শহিদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, তার দেখাদেখি এলাকায় এখন আরও কিছু লেবুর বাগান হয়েছে। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে সিডলেস লেবু যাচ্ছে অন্য উপজেলায় প্রতি হাজার লেবু বিক্রি করছেন এক হাজার থেকে পনের শ টাকায়। বাজার ভালো থাকলে যা কিনা তিন-চার হাজার টাকায় বিক্রি হতো বলে তার ধারণা।

শহিদুল বলেন, লেবুর বাগান পরিচর্যায় পরিবারের সবাই সহযোগিতা করে। তাই শ্রমিক ব্যয় কম। বাগানের আয় দিয়েই সংসার চলে। প্রতিবছর একবার ডালপালা ছাঁটা ও প্রতি তিন মাসে একবার নিড়ানি দিতে হয়। দু-তিন মাস পরপর সেচ ও সামান্য জৈবসার প্রয়োগ করেন। তার হিসাবে প্রতি একরে বার্ষিক খরচ ৫০-৬০ হাজার টাকা। এর সঙ্গে আবার নিজের উৎপাদিত কলম চারা দিয়ে ফিরতি বছর নতুন বাগানও তৈরি করবেন তিনি। প্রতিটি কলম চারা ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রিও করছেন।

শহিদুলের লেবুর বাগান দেখতে এসে বোয়ালমারীর হাবিব জানালেন, ‘বেকার যুবকদের জন্য অল্প পুঁজিতে ভালো একটি প্রকল্প হতে পারে এটি। আমি নিজেও চিন্তাভাবনা করছি লেবু চাষ করার।’

এ প্রসঙ্গে বোয়ালমারী উপজেলা উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মৃণাল বিশ্বাস বলেন, ‘১২ মাস ফলন দেওয়া প্রচুর রস ও ঘ্রাণযুক্ত হাইব্রিড জাতের সিডলেস লেবুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ লেবু চাষে চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। সঠিক পরিচর্যা করলে একবার চারা রোপণের পর একাধারে ১২-২০ বছর ফলন পাওয়া যায়।’

 
 
/এফএ/
সম্পর্কিত
যশোরে তীব্র গরমে মরে যাচ্ছে মাছের পোনা, ক্ষতি ‌‘২০ কোটি টাকা’
ফসলের মাঠে সোনারঙ, তীব্র গরমেও কৃষকের মুখে হাসি
কৃষকের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দিলো ছাত্রলীগ
সর্বশেষ খবর
রাজশাহীতে গরমে নাকাল প্রাণিকুল, মারা যাচ্ছে পাখি
রাজশাহীতে গরমে নাকাল প্রাণিকুল, মারা যাচ্ছে পাখি
দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুর পৌর মেয়র বরখাস্ত
দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুর পৌর মেয়র বরখাস্ত
মাটি কাটার সময় ‘গরমে অসুস্থ হয়ে’ নারী শ্রমিকের মৃত্যু
মাটি কাটার সময় ‘গরমে অসুস্থ হয়ে’ নারী শ্রমিকের মৃত্যু
সাকিবের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সাক্ষাৎ
সাকিবের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সাক্ষাৎ
সর্বাধিক পঠিত
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
আজ কি বৃষ্টি হবে?
আজ কি বৃষ্টি হবে?
জালিয়াতির মামলায় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তার ২৬ বছরের কারাদণ্ড
জালিয়াতির মামলায় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তার ২৬ বছরের কারাদণ্ড
মঙ্গলবার দুই বিভাগের সব, তিন বিভাগের আংশিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে
মঙ্গলবার দুই বিভাগের সব, তিন বিভাগের আংশিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে
খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে সরকার
খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে সরকার