জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় ২৮ নভেম্বর ৬টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত আওয়ামী লীগের দুই নেতা প্রিসাইডিং অফিসার (ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা) হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে মনোনয়নবঞ্চিতদের প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়ায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কায় আছেন প্রার্থীরা।
জানা যায়, উপজেলার গোয়ালেরচর ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন উপজেলা তাঁতী লীগের সহ-সভাপতি এম এ রুহুল আমীন এবং গোয়ালেরচর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহনেওয়াজ সাজু মাস্টার।
এম এ রুহুল আমীন জেলা তাঁতী লীগের সদস্য এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক পদে আছেন। এ ছাড়া তিনি স্থানীয় সভারচর মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ। শাহনেওয়াজ সাজু স্থানীয় আহম্মেদপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। দুজনই জেলা ও ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছিলেন। মনোনয়ন পেতে ব্যানার-ফেস্টুনে প্রচারণাও চালিয়েছেন। করেছেন গণসংযোগও। কিন্তু শেষমেষ মনোনয়ন পাননি তারা। পেয়েছেন ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান সেখ মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শাহনেওয়াজ সাজু মাস্টার প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন গাইবান্ধা সুরুজ্জাহান উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে। রুহুল আমীন দায়িত্ব পেয়েছেন ডিগ্রিচর উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে।
গাইবান্ধা ইউপি নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক সরদার বলেন, 'শাহনেওয়াজ সাজু মাস্টার আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত। তিনি কীভাবে প্রিসাইডিং অফিসার হন? তাকে দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না।'
শাহনেওয়াজ সাজু মাস্টার বলেন, ‘দল আমাকে মনোনয়ন না দিয়ে ইউপির চেয়ারম্যান হারুনর রশীদকে দিয়েছে। আমি নিজে থেকে নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করতে চাইনি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমাকে প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন।’
এম এ রুহুল আমীন বলেন, ‘প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এটা আমার কোনও কিছু করার ছিল না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানান। পরে আমি দেখবো।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা ফারুক আল ফয়সালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে জানাতে বলেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোছা. হোসনে আরা বলেন, 'দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন কিনা জানা নেই। তাদের দায়িত্ব দিয়েছি শিক্ষক হিসেবে। বিষয়টি আগে জানালে ভালো হতো। এখন তো সময় কম। এরপরও খতিয়ে দেখা হবে।’