মাদারীপুরের শিবচরে বিবাহ বিচ্ছেদের পর সাদিয়া আক্তারের অন্যত্র বিয়ে ঠিক হওয়ার খবরে অ্যাসিড নিক্ষেপ করেছিল সাবেক স্বামী সুমন শিকদার। ২৫ দিন চিকিৎসাধীন থেকে শনিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা গেছেন তিনি।
সাদিয়া আক্তার (২৬) শিবচরের মাদবরেরচর এলাকার লিটু হাওলাদারের মেয়ে। শনিবার সন্ধ্যায় লাশ গ্রামের বাড়িতে আনেন স্বজনরা। রাতে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদবরেরচর এলাকার সিরাজ শিকদারের ছেলে সুমন শিকদারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে একই এলাকার লিটু হাওলাদারের মেয়ে সাদিয়ার। সুমন তখন স্পিডবোট চালক ছিল। চার বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। ঘরে এককন্যা সন্তানের জন্ম হয়। তবে বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে সুমন। একপর্যায়ে সুমনের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করেন। এরই মধ্যে সাদিয়ার অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ১৬ আগস্ট রাত ১০টার দিকে সাদিয়ার ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপ করেছিল সুমন। এতে মাথা ও মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। পরে তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার পরদিন সাদিয়ার বোন তাছলিমা আক্তার বাদী হয়ে শিবচর থানায় সুমনসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। গত ২৪ আগস্ট রাতে সুমনকে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মাঝিরচর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে মাদারীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
শিবচর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘চিকিৎসাধীন অবস্থায় অ্যাসিডে দগ্ধ সাদিয়া মারা গেছেন। আগের মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে। সেইসঙ্গে আসামির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে অভিযুক্ত ব্যক্তি কারাগারে রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে।’