গাজীপুরের শ্রীপুরে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির মোড়লের গাড়ি ভাঙচুর ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। ঘটনার ১২ দিন পর রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে শ্রীপুর থানায় মামলা রুজু হয়। ওই ছাত্রলীগ নেতার মা নার্গিস আক্তার বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১২ জনকে আসামি করে এই মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিম খণ্ড এলাকার মৃত মাহবুবুর রহমানের ছেলে আজিজুর রহমান জন (৩২), ইমরান হাসান ডন (৩৫), একই এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে শিপন মিয়া (৩২), মফিজ উদ্দিন বেপারীর ছেলে মইনুল বেপারী (২৩), মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের শাহজাহানের ছেলে আলামিন শেখ (২৪), তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ (এমসি বাজার) গ্রামের টিপু সুলতানের ছেলে সঞ্চয় সুলতান (২৩), মাওনা মধ্যপাড়া গ্রামের ইসমাইলের ছেলে ইমরান (২৫), শ্রীপুর পৌরসভার কড়ইতলা এলাকার হৃদয় ড্রাইভার (২৮), নয়নপুর (নয়াপাড়া) গ্রামের ফারুক হোসেন নিলয় (২৬), মাওনা মধ্যপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে রাকিব (২৫), জৈনা বাজার এলাকার রুহুল ঢালী (২৫) ও শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিম খন্ড (কড়ইতলা) এলাকার রুবেল মিয়াসহ (২৮) অজ্ঞাত ১২ জন।
মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, ১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ছাত্র সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য মাওনা বাজারে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে সমাবেশ সফল করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় রাত সাড়ে ১০টায় আসামিরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির মোড়লের ব্যবহৃত টয়োটা গাড়িতে (ঢাকা মেট্রো-চ-১৬-২২১৪) লোহার রড, ধারালো দা, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল নিয়ে হামলা করে ভাঙচুর করে। এসময় তারা গাড়ির বাম পাশের ডালার লক ভেঙে ভেতরে থাকা ব্যাগ থেকে নগদ পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে যায়।
গাড়ি ভাঙচুরের শব্দ পেয়ে ছাত্রলীগ কার্যালয় থেকে বের হয়ে নাছির মোড়ল ও গাড়ির চালক ঘটনাস্থলে গেলে আসামিরা তাকে খুনের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনায় পরদিন থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ ১০ দিন পর অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করে। এ ঘটনায় আজিজুর রহমান জনের করা মামলায় গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির মোড়ল আদালত থেকে জামিন নেন।
মামলার প্রধান আসামি আজিজুর রহমান জনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ না করায় এ বিষয়ে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শ্রীপুর থানার ওসি আবুল ফজল মো. নাসিম জানান, হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল। পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।