ন্যূনতম বেতন বৃদ্ধির দাবিতে গাজীপুরের কোনাবাড়ীর (জরুন) এলাকায় আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে আহত আরেক শ্রমিক জালাল উদ্দিন (৪০) মারা গেছেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া মোবাইল ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার (১১ নভেম্বর) রাত ১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
জালাল উদ্দিন ইসলামিয়া গার্মেন্টসের সুপারভাইজার ছিলেন। তিনি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার চাঁন মিয়ার ছেলে। গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে তিনি ওই পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
গত ৮ নভেম্বর বেতন বৃদ্ধির দাবিতে গাজীপুরের কোনাবাড়ীর (জরুন) এলাকায় কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা সকাল থেকে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেন। এ সময় তাদের সরিয়ে দিতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হলে সংঘর্ষ ঘটে। বিক্ষোভকারী শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এতে নারী শ্রমিক আঞ্জুয়ারা খাতুনসহ বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হন।
আহতদের উদ্ধার করে কোনাবাড়ী পপুলার হাসপাতাল ও কোনাবাড়ী ক্লিনিকে নেওয়া হয়। গুরুতর আহত আঞ্জুয়ারাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সেদিন গুরুতর আহত অবস্থায় শ্রমিক জালাল উদ্দিনকেও ঢাকা মেডিক্যালে নেওয়া হয়। ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা এখনও এ বিষয়ে জানি না। আপনাদের (সাংবাদিকদের) মাধ্যমে জানলাম। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’