কৃষকশ্রমিক জনতালীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘চোরের ১০ দিন, সাউদের একদিন। ৭ তারিখ (৭ জানুয়ারি) চোরের না, সাউদের দিন। সারাদিন আপনারা গামছা মার্কায় ভোট দেবেন। আমরা সন্ধ্যা থেকে বিজয়ের হাসি হাসবো। ৮ তারিখ আমরা বিজয় উদযাপন করবো।’
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের বাসাইল বাসস্ট্যান্ড চত্বরে নির্বাচনি পথসভায় তিনি এ কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি সকালে এক কথা, বিকেলে এক কথা বলতে শিখিনি। যে ক’দিন বেঁচে থাকবো, কাউকে ভয় করে বেঁচে থাকবো না। আল্লাহ রাসুলকে ভয় করে একদিন বেঁচে থাকলে এটাই আমার কাছে শ্রেষ্ঠ বাঁচা হবে। কোনও শক্তিধরের কাছে মাথানত করে ১০০ বছর বাঁচার চাইতে আল্লাহর ভরসায় একদিন বাঁচা, আমার কাছে বড় কাজ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি মানুষের ভোটাধিকার আদায়ের সম্মানে গামছা মার্কায় দাঁড়িয়েছে। এই মার্কা বাসাইল-সখিপুরের মার্কা। এটা আমার একার মার্কা নয়। বর্তমান প্রার্থী (আওয়ামী লীগের অনুপম শাহজাহান জয়) নৌকা মার্কার, নৌকা তো একটা জিনিস। নৌকা চালাতে মাঝি মাল্লা লাগে, একটা মাঝি মাল্লাও নেই। সব নেমে গেছে গা, নৌকা এমনিই তলিয়ে যাবে।’
বঙ্গবীর আরও বলেন, ‘কালকে নাকি এখানে প্রার্থীর (আওয়ামী লীগ) সভা হয়েছে। হাতে পায়ে ধরে ভোট চেয়েছে। আজকে পায়ে ধরবে, ভোট শেষে ঘাড়ে ধরবে। আমি পায়ে ধরে ভোট চাইবো না, জীবনে ঘাড়েও ধরি নাই। আমার এই বয়সে ঘাড়ে ধরতেও চাই না।’
তিনি বলেন, ‘আমি আমার বড় ভাইকে (আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী) দেখে রাজনীতিতে এসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে পেয়েছিলাম। আর বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে আমি এই দেশকে, দেশের মাটি ও মানুষকে ভালোবাসতে শিখেছি। আমার কাছে মা যেমন, মাটিও তেমন।’
টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখিপুর) আসনের প্রার্থী কাদের সিদ্দিকীর নির্বাচনি পথসভায় সভাপতিত্ব করেন বাসাইল পৌরসভার মেয়র রাহাত হাসান টিপু। এ সময় মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কৃষকশ্রমিক জনতালীগের কেন্দ্রীয় সদস্য মনসুর আল মামুন আজাদ সিদ্দিকী, কাদের সিদ্দিকীর সহধর্মিণী নাসরিন সিদ্দিকী, মেয়ে ব্যারিস্টার কুঁড়ি সিদ্দিকী প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা কৃষকশ্রমিক জনতালীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম খান ও উপজেলা যুব আন্দোলনের সভাপতি জাহাঙ্গীর বিন জাফর।