টাঙ্গাইলে সদর থানা ও বাসাইল থানায় হামলা-ভাঙচুর ও সংঘর্ষে অজ্ঞাত একজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে অর্ধশত। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল সদর থানা ও বাসাইল থানায় এসব ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে এসব তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, সন্ধ্যায় আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় প্রবেশ করে পুলিশের ওপর হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। তবে মারা যাওয়ার খবর তারা জানেন না।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান, গুলিবিদ্ধ একজনের লাশ মর্গে রয়েছে। আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে।
এদিকে, জেলার বাসাইল থানায় হামলা করে গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাঙচুর, উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুনসহ কয়েকটি স্থাপনায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলাতে আওয়ামী লীগ অফিস ও নেতাদের বাসায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও জেলার সমন্বয়ক ইমরান কবির, কামরুল ইসলাম, আল আমিন সিয়াম, মাহতাব হাসান প্রমুখ।
বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন জানান, আন্দোলনকারীরা থানায় প্রবেশ করে হামলা চালিয়েছে। তারা পুলিশের সার্কেল এএসপি ও ওসির দুটি ডাবল কেবিন পিকআপ গাড়ি ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম সবুর বলেন, ‘সদর থানায় হামলা চালিয়েছিল আন্দোলনকারীরা। এ সময় হামলায় কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছেন। এ ছাড়া জেলার কোথাও কোনও সংঘর্ষে কোন আন্দোলনকারী মারা যায়নি।’