গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে উপাচার্য এ কিউ এম মাহবুব ও উপ-উপাচার্য সৈয়দ সামসুল আলম পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকাল ৩টার দিকে তারা পদত্যাগ করেন। তাদের পদত্যাগপত্র শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর পাঠানো হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত শিক্ষক-কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করে নিজে পদত্যাগ করেন উপাচার্য এ কিউ এম মাহবুব। তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করার কথা উল্লেখ করেন।
উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা দালালভিত্তিক কোনও রাজনৈতিক দলের প্রশাসন চাই না। নিরপেক্ষ প্রশাসন চাই। যারা সবসময় আমাদের সহযোগিতা করবে। শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে। আমরা এমন প্রশাসন চাই, যারা নিজের দায়িত্ব ভুলে যাবে না। আমরা নতুন করে একটি নিরপেক্ষ প্রশাসনের দাবি জানাই। আমাদের যাতে আর কখনও কোনও প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে না হয়- তেমন কর্মকর্তা এবং শিক্ষক দাবি করি।
উল্লেখ্য, গত শনিবার শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা ১৫ দাবি জানান। দাবিগুলোর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সৈয়দ সামসুল আলম, নিরাপত্তা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের শিক্ষক জাকিয়া সুলতানা মুক্তা, সহকারী রেজিস্ট্রার নজরুল ইসলাম হীরা, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক এমদাদুল হক সোহাগ, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষক সোলাইমান হোসেন মিন্টু ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা শেখ তারেকের বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়।
আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত দাবি বাস্তবায়নের শেষ সময় ছিল। ওই সময়ের মধ্যে প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে না নেওয়ায় বিকাল ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগ ও শিক্ষক-কর্মকর্তাদের অব্যাহতির দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে উপাচার্য এ কিউ এম মাহবুব শিক্ষক-কর্মকর্তাদের অব্যাহতি দিয়ে নিজে পদত্যাগ করেন।