X
রবিবার, ০৪ মে ২০২৫
২০ বৈশাখ ১৪৩২

‘স্বাধীন দেশে নিজের রেজাল্ট দেখতে পারলো না আমার মা’

সাভার প্রতিনিধি
১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:০১আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:০১

‘আন্দোলন থেকে না ফেরা মেয়েটা আমার ইন্টার পাস করছে। কিন্তু আফসোস, স্বাধীন দেশে নিজের রেজাল্টটা আর দেখতে পারলো না আমার মা।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত নাফিসা হোসেন মারওয়ার বাবা আবুল হোসেন এভাবেই কান্নাভেজা চোখে মেয়ের এইচএসসির ফলাফলের কথা জানাচ্ছিলেন।

১৭ বছর বয়সী নাফিসা চলতি বছর গাজীপুরের টঙ্গী এলাকার শাহাজউদ্দিন সরকার স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। আজ ফলাফল ঘোষণার পর দেখা যায় নাফিসা জিপিএ ৪.২৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।

নাফিসার বাবা আবুল হোসেন পেশায় একজন চা-দোকানি। নাফিসা ও তার ছোট বোন রাইসাকে নিয়ে আবুল হোসেন থাকতেন টঙ্গীর এরশাদনগর বস্তি এলাকার ৮ নম্বর ব্লকে একটি ভাড়া বাড়িতে। পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা ফেরাতে নাফিসার মা কুলসুম বিদেশে পাড়ি জমান কয়েক বছর আগে।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে আবুল হোসেন বলেন, ‘মেয়ের লেখাপড়ায় যাতে বেঘাত না ঘটে, সে জন্য তাকে কখনও রান্না করতে দিতাম না। ছোট চায়ের দোকানে যা আয় হতো পুরোটাই মেয়েদের পড়াশোনা আর দেখভালে খরচ করেছি। ১৮ জুলাই আমাকে না বলেই নাফিসা উত্তরায় ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেয়। পরে প্রতিবেশীদের কাছে বিষয়টি জানতে পেরে আমি মেয়েকে বাধা দিই। কিন্তু মেয়ে আমাকে ফাঁকি দিয়ে ৩ আগস্ট সাভারে তার মামার বাসায় বেড়াতে যায়। নাফিসার স্কুল সাভারে হওয়ায় সেখান তার অনেক বন্ধু-বান্ধবী ছিল, তাদের সঙ্গেই সে সাভারে আন্দোলনে যোগ দিয়ে গুলি খেয়ে শহীদ হয়েছে। কিন্তু একটাই কষ্ট, যে স্বাধীনতার জন্য আমার মেয়েটা প্রাণ দিল, সেই স্বাধীন দেশে সে তার পরীক্ষার রেজাল্ট দেখে যেতে পারেনি।’

গত ৫ আগস্ট বেলা ২টার দিকে আন্দোলনরত অবস্থায় বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন নাফিসা। পরে তার সঙ্গে থাকা অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন এই বীরকন্যা।

পরে খবর পেয়ে নাফিসার বাবা হাসপাতালে যান। সেখান থেকে মেয়ের মরদেহ নিয়ে এসে টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকার কবরস্থানে দাফন করেন।

/এনএআর/
সম্পর্কিত
বিমানবাহিনীর সদস‍্যকে হাতকড়া পরিয়ে মারধর, ২ এএসআই প্রত‍্যাহার
নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গ্রেফতার
এক মোটরসাইকেলে চার যুবক, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকচাপায় দুজনের মৃত্যু
সর্বশেষ খবর
বিমানবাহিনীর সদস‍্যকে হাতকড়া পরিয়ে মারধর, ২ এএসআই প্রত‍্যাহার
বিমানবাহিনীর সদস‍্যকে হাতকড়া পরিয়ে মারধর, ২ এএসআই প্রত‍্যাহার
রাস্তায় কলেজছাত্রীকে ইভটিজিং, গ্রেফতার ২
রাস্তায় কলেজছাত্রীকে ইভটিজিং, গ্রেফতার ২
পল্টনে ভবনে আগুন: প্রায় ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে
পল্টনে ভবনে আগুন: প্রায় ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে
তেজগাঁওয়ে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৭৪
তেজগাঁওয়ে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৭৪
সর্বাধিক পঠিত
৩০০ ফিট দিয়ে রামপুরা করিডোর চালুর পরিকল্পনা ডিএনসিসির
৩০০ ফিট দিয়ে রামপুরা করিডোর চালুর পরিকল্পনা ডিএনসিসির
শুকনো মরিচের দাম কেজিতে কমলো ১০০ টাকা
শুকনো মরিচের দাম কেজিতে কমলো ১০০ টাকা
‘নারী সংস্কার কমিশনের প্রতি ঘৃণা উসকে দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন’
‘নারী সংস্কার কমিশনের প্রতি ঘৃণা উসকে দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন’
টিএসসিতে নারী প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ, সমালোচনার ঝড়
টিএসসিতে নারী প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ, সমালোচনার ঝড়
ইঞ্জিন বিকল, মাঝপথে থামলো চলন্ত ট্রেন
ইঞ্জিন বিকল, মাঝপথে থামলো চলন্ত ট্রেন