রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জ নৌপথে পাটুরিয়া ঘাট থেকে যানবাহন নিয়ে ছেড়ে আসা ‘বাইগার’ নামক ফেরি থেকে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) পদ্মায় ঝাঁপ দেওয়া নারীর খোঁজ দুই দিনেও মেলেনি। তবে তার পরিচয় পাওয়া গেছে।
স্বজনদের দাবি, ওই নারীর নাম ফজিলাতুন্নেছা (৪৮)। তিনি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ থানার নলতা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড নলতা গ্রামের মৃত আবদুল আজিজের স্ত্রী। গাজীপুরে মেয়ের বাসা থেকে বেড়ানো শেষে সাতক্ষীরায় নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। এ ঘটনার দুই দিন পার হলেও বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নিজেকে ওই নারীর ভাগ্নে দাবি করা সাদ্দাম হোসেন মোবাইল ফোনে বলেন, ‘১০ জানুয়ারি খালাম্মা (ফজিলাতুন্নেছা) গাজীপুরে তার মেয়ে কাছে বেড়াতে গিয়েছিলেন। কয়েক দিন ধরে অজ্ঞাত কারণে তিনি বিষণ্ণতায় ভুগছিলেন। ১৩ জানুয়ারি সকালে বাসার কাউকে না জানিয়ে সেখান থেকে সাতক্ষীরার উদ্দেশে রওনা হন। পরে আমরা খোঁজ করতে থাকি। ওই দিন সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস পরিবহনের কাউন্টারে খোঁজ নিতে গিয়ে একটি ব্যাগ পাই, সেখানে খালাম্মার পোশাক দেখে নিশ্চিত হই। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় আমরা অনলাইনে ফেরি থেকে পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার খবর দেখতে পাই। পরে পরিবহনের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হই, আমার খালাম্মাই ফেরি থেকে নদীতে পড়েছেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত নৌপুলিশের সহযোগিতায় নদীতে তার সন্ধান চলেছে।’
প্রত্যক্ষদর্শী ও একটি যাত্রীবাহী বাসের সুপারভাইজার সাইদুল ইসলাম জানান, গত সোমবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে তাদের বাস বহনকারী ফেরিটি পাটুরিয়া ঘাট ছেড়ে মাঝ নদীতে পৌঁছালে বোরকা পরা এক নারী হঠাৎ ঝাঁপ দেন। এ সময় তার পরনে কালো রঙের বোরকা ও মাথায় সাদা রঙের স্কার্ফ ছিল। তিনি কোন পরিবহনে বা কীভাবে ফেরিতে এসেছেন এ বিষয়ে কেউ সঠিক তথ্য বলতে পারছেন না।
তবে ফেরিতে থাকা ফল বিক্রেতা আফতাব হোসেন বলেন, ওই নারী নদীতে পড়ে যাওয়ার সময় ফেরির শিকল ধরে রাখার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু আমরা চেষ্টা করার আগ মুহূর্তেই নদীতে পড়ে যান। হয়তো অসাবধানতাবশত তিনি ফেরি থেকে পড়ে গেছেন।
দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির এসআই মাসুদ রানা জানান, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নিখোঁজের সন্ধান পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবারও নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ড পদ্মা নদীতে সন্ধান চালিয়েছে।