ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাসহ ৩৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ ঘোষণার পর সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ সব তথ্য নিশ্চিত করেন ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মাহফুজা খাতুন।
গ্রেফতাররা হলেন- ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা মো. কামরুজ্জামান রায়হান, আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী মো. সাগর মিয়া, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সোহাগী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি কামাল হোসেন ওরফে তোফায়েল, মাইজবাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মাইন উদ্দিন, আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ফারুক মিয়া, মো. কাইরুম, নান্দাইল সদর উপজেলার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিক হাসান বাবুল, আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল হক, উপজেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী আফজাল হোসেন জিন্নাহ, মোশাররফ হোসেন, মো. আজাদ ইমন, মাহাদীর আলম, যুবলীগের সক্রিয় কর্মী মোবারক হোসেন, আল আমিন, ফুলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. তুলা মিয়া, ৫ নম্বর ফুলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সোহানুর রহমান তুলা ও ধোবাউড়া উপজেলার ঘোষগাঁও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রহুল আমিন।
এ ছাড়া অন্যান্য মামলার আসামি মো. আনিছুর রহমান রাসেল, সাকিল আহম্মেদ দিপু, সহিদ মিয়া, আসিফ রহমান খান অপু, আহনাফ আব্দুল্লাহ খান অনির্বাণ, সুলতান আহম্মেদ খান, মো. আলমগীর হোসেন, ঈশান ওরফে ইশাত, মুঞ্জরা খাতুন, মো. অলিউল্লাহ, মো. লিটন মিয়া, জামাল মিয়া, মোরশেদ, হৃদয়, আশিক ও সাব্বিরসহ আরও ৫ জন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মাহফুজা খাতুন জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেউ যাতে নষ্ট করতে না পারে সেজন্য সারা দেশের মতো ময়মনসিংহেও অভিযান চলছে। গোয়েন্দারা বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি বাড়িয়েছে। কোনও সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে তথ্য পেলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। জেলাজুড়ে অভিযান চলমান রয়েছে।