মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় এক পোশাকশ্রমিককে (২৯) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম নুরু নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের একটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। নুরুল ইসলাম নুরু (৩৫) বালুচর ইউনিয়নের ওসমান গণির ছেলে। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় নুরুসহ আরও চার জনকে আসামি করে শুক্রবার সন্ধ্যায় সিরাজদিখান থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী পোশাকশ্রমিক। সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পোশাক কারাখানায় কাজ শেষে অটোরিকশায় করে স্বামীর বাড়ি বালুচর ইউনিয়নে যাচ্ছিলেন ওই নারী। ওই ইউনিয়নের মোল্লাকান্দির বালুচর গ্রামে পৌঁছালে পাঁচ যুবক অটোরিকশা থামিয়ে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাকে তুলে ধলেশ্বরী নদীর তীরে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। ঘটনার পর থেকে ভয়ে মামলা করতে পারেননি তিনি।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘তারা পাঁচ জন অস্ত্রের মুখে জিম্মি আমাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে মারধর করে ধর্ষণ করেছিল তারা। ঘটনার পর থেকে অসুস্থ থাকায় এবং ভয়ে মামলা করতে বিলম্ব হয়।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিরাজদিখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই নারী পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেন। মামলার পর রাতেই বালুচর থেকে অভিযুক্ত নুরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি চার আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’