মাদারীপুরের কীর্তিনাশা নদীতে বাল্কহেডে ডাকাতি করতে এসে স্থানীয় বাসিন্দাদের পিটুনিতে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া এক ডাকাতের লাশ দুই দিন পর নদীতে ভেসে উঠেছে। রবিবার (০২ মার্চ) বিকালে সদর উপজেলার রাজারচর এলাকার নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তার পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে চার জনে দাঁড়ালো।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে মাদারীপুর-শরীয়তপুর দুই জেলার সীমান্তবর্তী খোয়াজপুর-টেকেরহাট বন্দর এলাকায় ডাকাতির খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন নদীতে নেমে ধাওয়া দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পালানোর সময় স্থানীয়দের পিটুনিতে তিন জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় ডাকাত দলের ছোড়া গুলিতে পাঁচ জন গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় ট্রলার নিয়ে ধাওয়া দিলে স্পিডবোট নিয়ে ডাকাতরা দ্রুত শরীয়তপুরের দিকে পালিয়ে যায়। পরে তিন ডাকাতের লাশ শরীয়তপুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাদের লাশ মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ময়নাতদেন্তর জন্য পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বিকালে খোয়াজপুর ইউনিয়নের রাজারচর এলাকার স্থানীয় লোকজন কীর্তিনাশা নদীতে হাত-পা ধুতে গিয়ে একটি লাশ ভাসতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রাজারচর এলাকার বাসিন্দা রুবেল হাওলাদার বলেন, ‘আমি নদীতে হাত-পা ধুতে গেলে দেখি একটি লাশ ভাসছে। আমি লোকজনকে ডাক দিলে পরে তারা এসে থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। লাশটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সবার ধারণা, লাশটি একজন ডাকাতের। কারণ, ওই দিন স্থানীয় লোকজন ডাকাতদের পিটুনি দিয়ে নদীতে ফেলে দেয়। তাদের মধ্যে একজনের এই লাশ।’
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয়রা একজনের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। শরীরে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন আছে। ধারণা করা হচ্ছে, লাশটি ডাকাত দলের সদস্যের। নিহতের নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এ নিয়ে ডাকাতির ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হলো।’