গাজীপুরে গার্মেন্টে এক নারী শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবরোধ করে রেখেছেন আশপাশের বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। সোমবার (৩ মার্চ) সকাল সোয়া ৮টা থেকে শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন।
নিহত শ্রমিক আফসানা আক্তার (২২) ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার পাঁচরুখী গ্রামের আফসার আলীর মেয়ে। তিনি প্যানারোমা কারখানার জুনিয়র অপারেটর পদে কর্মরত। তার স্বামীর নাম হৃদয়।
ওই নারী পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন রকম কথা শোনা যাচ্ছে। আন্দোলনরত শ্রমিকরা বলছেন, আফসানা দুপুরে নামাজ পড়তে ছাদে ওঠেন। সেখানে অচেতন হয়ে পড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ বিশৃঙ্খলা এড়াতে লাশ সরাতে না পেরে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে।
তবে প্রকৃত ঘটনা কি তা এখনও নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছে না। পুলিশ বলছে, নিহত শ্রমিকের স্বামী বিভিন্ন সময় তাকে মারধর করতো। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা প্যানারোমা অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার সামনে কয়েকটি মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল ও প্রাইভেটকারে আগুন দিয়েছে।
শ্রমিকরা আরও জানান, জয়দেবপুরের চান্দনা থেকে ভোগড়া বাইপাস পর্যন্ত সবগুলো পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকরা বাসন সড়কের আইনুদ্দিন সরণীতে জড়ো হচ্ছেন। ইটাহাটা এলাকায় (নাজিমুদ্দিন সড়ক বাইতুন নূর জামে মসজিদ সংলগ্ন) একটি কারখানা বন্ধ ঘোষণা না করায় সেখানে ভাঙচুর শুরু করেছেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, শিল্প পুলিশ ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা অবস্থান করছেন। মহাসড়ক অবরোধ করে রাখায় চলাচলকারী যানবাহন, চালক ও যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অনেকে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) বাসন থানার ওসি কায়সার আহমেদ জানান, রবিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় প্যানারোমা অ্যাপারেলস লিমিটেড পোশাক কারখানার এক নারী শ্রমিক মৃত্যুর খবর পাই। ওই সময় গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়। প্রাথমিক সুরতহালে নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।