গাজীপুরের শ্রীপুরের শিল্পাঞ্চল হিসেবে পরিচিত মাওনা চৌরাস্তায় ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ছাত্রলীগ নেতার চাঁদা নেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকাল পৌনে ৫টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা চৌরাস্তায় এ বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ শেষে সমাবেশে শ্রীপুর পৌর ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফাহিম খন্দকার, তার ভাই নাঈম খন্দকার এবং যুবলীগ নেতা কাইয়ুমের বিরুদ্ধে মহাসড়কের মাওনা চৌরাস্তায় ফুটপাত দখলের অভিযোগ রয়েছে। ফুটপাতের দোকান থেকে তারা এখনও চাঁদা উঠিয়ে নিচ্ছেন।
শ্রীপুর পৌর ছাত্রদলের নেতা এস এম আব্দুল্লাহ আজাদ, বরমী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আশিক আহমেদ এবং শ্রীপুর পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য মাজমুদুল হাসান আরফি তাদের বক্তব্য অভিযোগ করেন, বিগত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পতন হওয়ার পর মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশ, শ্রীপুর থানা পুলিশ, শ্রীপুর উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিক দল এবং কৃষক দলের নেতৃবৃন্দসহ দলের অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে মহাসড়কের ফুটপাত দখলমুক্ত করে কাজ করে আসছি। ইতোমধ্যে সড়ক ও জনপথ বিভাগ আমাদের এ কার্যক্রমে সমর্থন জানিয়ে ফুটপাতে কোনও ধরনের দোকানপাট না বসানোর জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দিয়েছে। ফুটপাতে দোকান বসিয়ে মহাসড়কের চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহন, সাধারণ মানুষ, পথচারী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ সৃষ্টি না করারও নিদের্শ দেয়।
কিন্তু কিছুদিন যাবৎ গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফাহিম খন্দকার, তার ভাই শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য নাঈম খন্দকার, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি লেবু খন্দকার এবং যুবলীগ কর্মী কাইয়ুমের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ মহাসড়কের ফুটপাতে দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছিল। দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ তারা সড়ক ও জনপথের জায়গার পাশে মাছ ব্যবসায়ী ও কাঁচা বাজার থেকে চাঁদা নিচ্ছিল। বৃহস্পতিবার তারা নিজেরাই একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপি তথা দলের নেতাকর্মীদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা তাদের এসব অপকর্মের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
ছাত্রদল নেতাকর্মীরা বলেন, ‘প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দ্রুততম সময়ে আইনের আওতায় নিয়ে ব্যবসায়ীদের চাঁদাবাজ থেকে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা ফুটপাতের দোকান উচ্ছেদ করায় অভিযুক্তরা বিভিন্নভাবে বিএনপি তথা দলের অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম মিথ্যা অপবাদ ছড়চ্ছে।’
অভিযুক্ত গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফাহিম খন্দকারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।