ফরিদপুর সদরে ক্রিকেট খেলা ও বোয়ালমারীতে পেঁয়াজ তোলাকে কেন্দ্র করে চার পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (০২ এপ্রিল) বিকালে সদরের চাঁদপুর গ্রাম ও বোয়ালমারীর রূপাপাত ইউনিয়নের মোড়াগ্রাম এলাকায় এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকাল ৫টার দিকে বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের মোড়াগ্রাম এলাকায় পেঁয়াজ তোলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত একজনকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মোড়াগ্রাম এলাকায় শামসুদ্দিন ঝুনু মিয়ার সমর্থক ঠান্ডু মোল্লার লোকজনের সঙ্গে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের সমর্থক মিজান মোল্লার লোকজনের পেঁয়াজ তোলা নিয়ে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হন। এর মধ্যে ঠান্ডু মোল্লা গ্রুপের স্থানীয় ওয়ার্ড ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল মোল্লাকে (২৭) আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। তবে এখনও কোনও পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি।’
অপরদিকে, সদর উপজেলার চাঁদপুর বাজার সংলগ্ন মাঠে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত চার জনকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে চাঁদপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার এসআই শেখ আহাদুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চাঁদপুর বাজার সংলগ্ন মাঠে দুপুরে ঈদ উপলক্ষে ক্রিকেট খেলার আয়োজন করা হয়। খেলায় চর চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দারা দুটি দলে বিভক্ত হয়ে অংশ নেন। খেলা চলাকালীন নজরুল বেপারীর ছেলে বাদশা মিয়ার সঙ্গে আকিদুল শেখের ছেলে নাজমুল হকের বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। স্থানীয়রা দুজনকে শান্ত করে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়।’
তিনি বলেন, ‘বিকালে এরই জের ধরে বাদশা ও নাজমুলের পরিবারের সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত চার জনকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’