X
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
২৫ বৈশাখ ১৪৩১

মেহেরপুরের বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার

আশরাফুল ইসলাম, মেহেরপুর
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৯:৫৪আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৯:৫৪

মেহেরপুর মেহেরপুর জেলার তিনটি উপজেলার ৯০ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই কোনও শহীদ মিনার। দেশপ্রেম, ভাষাপ্রেম, নাগরিক চেতনা গড়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার না থাকায় শিক্ষার্থীরা একুশে ফ্রেব্রুয়ারির চেতনার প্রতীকী কাঠামো দর্শন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
একুশ পেরোনোর ৬৮ বছর পরেও সেই অব্যক্ত ক্ষুধা থেকেই যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। তবে জেলা প্রশাসন থেকে আগামী বছর জেলার সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাধ্যতামূলক শহীদ মিনার বাস্তবায়নের কথা জানানো হয়।
মেহেরপুর জেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ রয়েছে ১৬৮টি, প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৩০৮টি এবং কিন্ডার গার্টেন রয়েছে ১৬৯টি। সব মিলিয়ে ৬৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এ জেলায়। এরমধ্যে মাত্র ৪৯টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে। প্রাইভেট ও কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠানগুলোর একটিতেও নেই শহীদ মিনার।
জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুরের তিনটি উপজেলায় নিম্ম মাধ্যমিক স্কুল, মাধ্যমিক স্কুল, কলেজে, মাদ্রাসা, ভোকেশনাল ও স্কুল অ্যান্ড কলেজ রয়েছে ১৬৮টি।
এর মধ্যে মেহেরপুর সদর উপজেলায় নিম্ম মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৩৯টি, কলেজ রয়েছে ৪টি, মাদ্রাসা রয়েছে ১১টি, ভোকেশনাল ১টি, স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৩টি। এর মধ্যে ১২টিতে শহীদ মিনার রয়েছে।
মুজিবনগর উপজেলায় নিম্ম মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১৬টি, কলেজ রয়েছে ২টি, মাদ্রাসা রয়েছে ৪টি, ভোকেশনাল ১টি। এর মধ্যে ১৩টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে।
গাংনী উপজেলায় নিম্ম মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৬৫টি, কলেজ রয়েছে ৮টি, মাদ্রাসা রয়েছে ১০টি, ভোকেশনাল ১টি, স্কুল এন্ড কলেজ ৩টি। এর মধ্যে ২০টিতে শহীদ মিনার রয়েছে।
এদিকে জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, তাদের চিত্র আরও করুণ। জেলার তিন উপজেলায় ৩০৮টি বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ৪টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলার ১০৯টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ২টিতে, মুজিবনগর উপজেলায় ৩৮টির মধ্যে ১টি বিদ্যালয়ে এবং গাংনীতে ১৬১টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ১টিতে শহীদ মিনার রয়েছে।
জেলা জাসদের সভাপতি ওমর আলী জানান, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনার না থাকা দুঃখজনক। বর্তমান সরকারের দ্রুত এ দিকে নজর দেওয়া উচিত।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মহা. ফজলে রহমান বলেন, ‘৩০৮টি বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ৪টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে। বিদ্যালয় গুলোতে ভবন নির্মাণের প্রকল্পে ’শহীদ মিনার নির্মাণ’ ট্যাগ করে দিলে প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করা সম্ভব।’
জেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আমান উদ্দিন মন্ডল বলেন, ‘জেলার এতগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই সেটি বোধগম্য নয়। আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন মহলকে জানানো হবে।’
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মো. আতাউল গনি বলেন, ‘শতকরা ৯০ শতাংশ বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই এটি খুবই দুঃখজনক। তবে আগামী বছরের ২১ শে ফেব্রুয়ারির আগেই জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার গড়ে তোলা হবে।’

/এআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
পিএসজিকে হারিয়ে ফাইনালে ডর্টমুন্ড
চ্যাম্পিয়নস লিগপিএসজিকে হারিয়ে ফাইনালে ডর্টমুন্ড
রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো দিল্লি
রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো দিল্লি
ঢাকা আসছেন মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু
ঢাকা আসছেন মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
সর্বাধিক পঠিত
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট