X
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
১৭ আষাঢ় ১৪৩২

১০ বছরেও সংস্কার হয়নি পাঁচ কিলোমিটার সড়ক

খুলনা প্রতিনিধি
১৭ মে ২০২২, ১১:৪৭আপডেট : ১৭ মে ২০২২, ১২:০০

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কাইনমুখ থেকে খাটুয়ামারী পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের ইট উঠে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন ১০টি গ্রামের অর্ধলাখ মানুষ।

কাইনমুখী গ্রামের গোপাল চন্দ্র মন্ডল বলেন, এই সড়ক দিয়ে খাটুয়ামারী, সোনা খালি, আমুরকাটা, মিনহাজ, বাঁশখালী, হোগলার চক, কানাখালী ও ভড়েঙ্গার চকসহ ১০ গ্রামের অন্তত অর্ধলাখ মানুষ যাতায়াত করেন। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক সামান্য অংশ সংস্কার করেছিলেন। এরপর গত ১০ বছরেও সংস্কার করা হয়নি।

আমুর কাঁটার বিধান চন্দ্র মন্ডল বলেন, দিয়ে আবু হোসেন কলেজ, আমুর কাঁটা রংধনু মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ কাইনমুখী আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়, আমুর কাঁটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ আমুর কাঁটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খাটুয়ামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এই সড়ক দিয়ে হেঁটে যাতায়াত করে। এছাড়া এই সড়কে রয়েছে সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিক ও আমুর কাঁটা বাজার। 

বাজারের ব্যবসায়ী নকুল মন্ডল বলেন, রাস্তার নাজুক পরিস্থিতিতে পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ ১০ কিলোমিটার ঘুরে অন্য বাজারে গেলেও আমুরকাটায় আসতে চায় না। চাহিদা অনুযায়ী দোকানের প্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহনে অতিরিক্ত খরচ করে ভ্যান ঠেলে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়। 

দক্ষিণ কাইনমুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কংকন চন্দ্র মন্ডল বলেন, এলাকাটি বরাবরই অবহেলিত। গত ১০ বছর রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে রয়েছে।

সোনাদানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান গাজী বলেন, দুর্ভোগ কমাতে এখন মানুষ ওয়াপদা সড়ক দিয়ে চলাচল করছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে ৫ কিলোমিটার পিচ ঢালাই দিয়ে সংস্কার করতে টেন্ডার হয়েছে। এলজিইডি রাস্তার কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হতে পারে। রাস্তাটির কাজ শেষ হলে জনদুর্ভোগ লাঘব হবে।

এলজিইডি’র পাইকগাছা উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, রাস্তাটি যেহেতু ইট সোলিংয়ের, সে কারণে সংস্কারের বিষয়টি ছিল না। এখন রাস্তাটি একেবারে পিচ কারপেটিং করে পাকাকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। টেন্ডার হয়ে গেছে। কার্যাদেশে পেলে সাড়ে ৫ কিলোমিটার রাস্তা নতুনভাবে করা হবে।

 

/এসএইচ/
সম্পর্কিত
কাঁধে নিয়ে ওপরে তোলা হয় রোগী, একইভাবে নামানো হয় লাশ
রাতে উত্তরের পথে ১৩ কিলোমিটার গাড়ির ধীরগতি, চরম ভোগান্তি
চট্টগ্রাম থেকে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ, বাড়তি ভাড়া আদায়
সর্বশেষ খবর
এক দলকে সরিয়ে আরেক দলকে বসানোর জন্য কেউ রক্ত দেয়নি: নাহিদ ইসলাম
এক দলকে সরিয়ে আরেক দলকে বসানোর জন্য কেউ রক্ত দেয়নি: নাহিদ ইসলাম
ইরানে আটকে পড়া ২৮ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন
ইরানে আটকে পড়া ২৮ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন
হালদার পাড়ে তামাক চাষ বন্ধ করতেই হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
হালদার পাড়ে তামাক চাষ বন্ধ করতেই হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
সর্বাধিক পঠিত
সঞ্চয়পত্রে কমলো মুনাফার হার, কার্যকর ১ জুলাই থেকে
সঞ্চয়পত্রে কমলো মুনাফার হার, কার্যকর ১ জুলাই থেকে
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ
অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা মুখোমুখি
প্রশাসনে থামছে না আন্দোলনঅন্তর্বর্তী সরকার ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা মুখোমুখি
আরও ১১ ব্যাংকের সম্পদ যাচাই করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
আরও ১১ ব্যাংকের সম্পদ যাচাই করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন অর্থবছরের বাজেট
আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন অর্থবছরের বাজেট