প্রেমের সম্পর্ক থেকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছিলেন সাগর হোসেন (১৮) ও চামেলী খাতুন (১৬)। বিয়ের পর সংসার জীবন ভালো কাটলেও মঙ্গলবার (৭ জুন) দুপুরে একই ওড়নায় ঝুলন্ত অবস্থায় এই দম্পতির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার দিঘলকান্দি গুচ্ছগ্রামে চামেলীর বাবার ঘর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। সাগর হোসেন মেহেরপুর সদর উপজেলার পাটকেলপোতা গ্রামের ইকতার আলীর ছেলে ও চামেলী গাংনী উপজেলার দিঘলকান্দি গ্রামের কালু মণ্ডলের মেয়ে। তবে এখনও মৃত্যুর কারণ নির্ণয় করতে পারেনি পরিবার ও পুলিশ।
জানা গেছে, এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। চামেলী বেশ কয়েক দিন ধরে বাবার বাড়িতে আছেন। সোমবার গভীর রাতে বাবার সঙ্গে দ্বন্দ্ব করে শ্বশুরবাড়িতে আসেন সাগর। দুপুরের দিকে সাগর ও চামেলী মায়ের কাছে রুটি খাওয়ার আবদার করে। বাড়িতে আটা না থাকায় দোকানে যান চামেলীর মা হাফিজা খাতুন। ফিরে এসে ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখেন। একপর্যায়ে প্রতিবেশীদের সহায়তায় ঘরের দরজা ভেঙে দুজনকে একই ওড়নায় ঝুলে থাকতে দেখেন। স্থানীয়রা তাদের মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
হাফিজা খাতুন বলেন, ‘সকাল থেকেই জামাই ও মেয়ে বেশ হাসিখুশি ছিল। আত্মহত্যা করার মতো কোনও কারণই নেই। কেন তারা আত্মহত্যা করলো কিছুই আঁচ করতে পারছি না।’ তবে অনেক আগে থেকেই সাগর কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে দাবি করেন শাশুড়ি।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আত্মহত্যার কারণ এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। এ বিষয়ে পুলিশ চেষ্টা করে যাচ্ছে।’