চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় মীম আক্তার মানজুরা (২৫) নামে এক তরুণীকে শ্বাসরোধে ও গলা কেটে হত্যার ঘটনায় তার ভাই আলমগীর কবীরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আলমগীর তার বোন হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে সোমবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে প্রেস ব্রিফিং করেছে পুলিশ। আলমগীর কবীর (৩২) দর্শনার মোহাম্মদপুরের মৃত আরমান আলীর ছেলে।
বিকালে প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দীন আল আজাদ (ক্রাইম এন্ড অপস) বলেন, ‘এক নিকট আত্মীয়ের সঙ্গে বোনের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা জেনে যান ভাই আলমগীর। সেই সম্পর্ক থেকে বোনকে সরে আসার জন্য বারবার সতর্ক করেন। কিন্তু বোন শোনেননি। এ কারণে ক্ষুব্ধ ছিলেন। এরই মধ্যে আলমগীরের সাবেক স্ত্রীর আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে বিবাদ সৃষ্টি হয়। শ্বশুরবাড়ির লোকজন মোবাইল ফোনে হুমকি দিলে তা রেকর্ড করে বোনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বোনকে কৌশলে বাড়ির পাশের আমবাগানে ডেকে নিয়ে যান। এ সময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বোনের ওড়না দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে বেগুনক্ষেতে নিয়ে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। হত্যার পর ঘটনা অন্যদিকে নেওয়ার জন্য নিজের মাথায় আঘাত করেন এবং আমগাছে থাকা রশি নিয়ে হাত-পা বেঁধে চিৎকার শুরু করেন। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করলে অপহরণ ও বোনকে হত্যার কথা জানান। রবিবার সকালে বেগুনক্ষেত থেকে মীমের লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর তদন্ত করে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ।’
নাজিম উদ্দীন আল আজাদ আরও বলেন, ‘ঘটনায় নিজেকে দায়ী করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আলমগীর। এর আগে সোমবার সকালে আলমগীরকে আসামি করে দর্শনা থানায় হত্যা মামলা করেন তার ভগ্নিপতি সুরুজ মিয়া। জবানবন্দি গ্রহণের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা ও ডিবি পুলিশের ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ।