দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন। মনোনয়ন পাওয়ার পর তিনি বলেছেন, ‘এমপি হিসেবে বিজয়ী হয়ে আমার নির্বাচনি এলাকাকে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও জঙ্গিমুক্ত হিসেবে গড়তে চাই।’
মনোনয়ন পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে সোমবার (২৭ নভেম্বর) বাংলা ট্রিবিউনকে এসব কথা বলেন তিনি। একইসঙ্গে তাকে মনোনয়ন দেওয়ায় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আমার নির্বাচনি এলাকা হবে শান্তিপূর্ণ এবং গ্রুপিংমুক্ত উল্লেখ করে এস এম কামাল বলেন, ‘সুস্থ রাজনীতি করছি এবং করতে চাই। শ্রমিকবান্ধব জনপ্রতিনিধি হতে চাই। এলাকার সবার কল্যাণে উন্নয়নমূলক কাজ করতে চাই। যাতে ভবিষ্যতে এই আসন নিয়ে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার দুশ্চিন্তা করতে না হয়।’
খুলনা-৩ আসনটি মূলত খালিশপুর-দৌলতপুর ও খানজাহান আলী এলাকা নিয়ে গঠিত, রাজনীতির শুরু থেকে এসব এলাকার প্রত্যেক ঘরে গিয়েছি জানিয়ে এস এম কামাল বলেন, ‘ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করছি। খালিশপুর-দৌলতপুর ও খানজাহান আলী এলাকার প্রত্যেকের ঘরে ঘরে গিয়েছি, কখনও ভোটের জন্য, কখনও মানুষের উপকারের জন্য, কখনও দলের নেতাকর্মীর জন্য। এসব এলাকার প্রতিটি ঘর আমার চেনা, মানুষগুলো পরিচিত এবং আত্মীয়ের মতো। এটি শ্রমিক-অধ্যুষিত এলাকা। বেশিরভাগ শ্রমিকের সঙ্গে আমার সম্পর্ক আছে। কাজেই শ্রমিকবান্ধব এমপি হতে চাই। যাতে শ্রমিকদের মধ্যে আগামীতে কোনও ধরনের ক্ষোভের সঞ্চার না হয়। এজন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেবো। যে বিশ্বাস আর আস্থা রেখে শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, আমিও সে বিশ্বাস এবং আস্থার যথাযথ মূল্যায়ন করবো।’
খুলনা-৩ আসনে প্রথমবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন। তিনি এবারই প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। তিনি ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং একাদশ সংসদে তিনি পুনরায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তার পরিবর্তে এবার মনোনয়ন পান কামাল হোসেন।