দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসনে (লোহাগড়া উপজেলা ও নড়াইল সদরের একাংশ) আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাশরাফি বিন মুর্তজাকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু। কর্মীদের মধ্যে যাতে বিভেদ সৃষ্টি না হয় সেজন্য দলের প্রতি অনুগত হয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে সমর্থনের কথা জানান।
তিনি বলেন, কোনও ধরনের চাপ কিংবা হুমকি ধামকি নয়, সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় নির্বাচন থেকে সরে গেলাম।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় নড়াইল শহরের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন ট্রাক প্রতীকের এ প্রার্থী। এ সময় তিনি মাশরাফিকে সমর্থন জানিয়ে তার সমর্থকদের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য অনুরোধ জানান।
লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ার্যমান সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু সাংবাদিকদের বলেন, আমি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করার পর সমর্থকদের স্বাক্ষর গড়মিল ও মামলার তথ্য গোপন করার অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশন আমার প্রার্থিতা বাতিল করে দেয়। পরে চেম্বার আদালতের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পাই। এরপর পর দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করতে মন থেকে তেমন একটা সায় দিচ্ছিল না। এ ছাড়া আদালতের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণার জন্য সময়ের স্বল্পতা, লিভার ও মেরুদণ্ডের সমস্যাজনিত কারণে অসুস্থ থাকায় ডাক্তারের পরামর্শে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি বলেন, আমি অসুস্থ থাকায় আমার স্ত্রী, শতবর্ষী বৃদ্ধ মা ও পরিবারের সদস্যরা নির্বাচনের বিষয়ে অসম্মতি দেয়। তবে আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ালেও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাশরাফির প্রতি পূর্ণ সমর্থন রইল। আমার শুভানুধ্যায়ী, অনুগত ও সমর্থকদের প্রতি আহ্বান থাকলো তারা যেন নৌকা মার্কায় ভোট দেন। তাদেরকে মাশরাফির হাতে তুলে দিলাম। মাশরাফি যেন তাদেরকে কাছে টেনে নেন। অসুস্থজনিত কারণে রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণেরও ঘোষণা দেন লিটু।
সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু ছাত্রজীবনে মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজ ছাত্রলীগ শাখার সহ-সভাপতি, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।