কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করেছে বিক্ষোভকারীরা। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শহরের পিটিআই সড়কের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সন্ধ্যার দিকে শহরের পিটিআই সড়কে অবস্থিত হানিফের বাসার সামনে জড়ো হয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীরা। তারা বাসার নিচতলায় ভাঙচুর চালায়। তবে সে সময় হানিফ বাসায় ছিলেন না।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, ‘হালকা ভাঙচুর হয়েছে। ইটপাটকেল মেরেছে। পরে পুলিশ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। তার বাসায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, ‘সন্ধ্যায় হঠাৎ এমপির বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। দুই-তিন মিনিটের মধ্যে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে টিয়ারশেল ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে, কুষ্টিয়ায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দফায় দফায় সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিকসহ প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। আন্দোলনকারীরা জেলা আওয়ামী লীগের অফিস, শহরের পাঁচরাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও মজমপুর গেটের ট্রাফিক বক্সে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে অবস্থান নেয় হাজারো আন্দোলনকারী। পরে শহরের সাদ্দাম বাজার থেকে মিছিল নিয়ে চৌড়হাস মোড়ে জড়ো হয় তারা। মজমপুর গেটে যাওয়ার পথে সাদ্দাম বাজার মোড়ে এক আওয়ামী লীগ নেতার ব্যক্তিগত কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। পরে মজমপুর গেটে ট্রাফিক অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে আন্দোলনকারীরা। দিনভর শহরের এনএস রোড ও জেলা স্কুলের সামনে অবস্থান নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চালিয়ে যায় তারা। পুলিশ টিয়ারশেল, ছররা গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুপুরের দিকে বিক্ষুব্ধরা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়।