বিকল্প ও সহজলভ্য হিসেবে পাকিস্তান থেকে মোংলা বন্দর দিয়ে প্রথমবার চিটাগুড় (চারণকারী প্রাণীদের শক্তির উপকরণ) আমদানি করেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রথম চালান নিয়ে মোংলা বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে ভিড়েছে পানামা পতাকাবাহী জাহাজ এম টি ডলফিন-১৯। জাহাজটি পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে পাঁচ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিটাগুড় নিয়ে আসে। দুপুরে জাহাজ থেকে চিটাগুড় খালাস শুরু হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মো. মাকরুজ্জামান জানান, গত ২২ জানুয়ারি পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে জাহাজটি ছেড়ে আসে। এরপর সকালে এই বন্দর দিয়ে চিটাগুড় খালাস করে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পিঅ্যান্ডপি ট্রেডিং। খালাস হওয়ার পর এ চিটাগুড় মোংলা থেকে সড়ক ও নৌপথের মাধ্যমে নেওয়া হবে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে। সেখান থেকে তা দেশের বিভিন্ন ফিড কোম্পানিতে সরবরাহ করা হবে।
এদিকে, পাকিস্তান থেকে প্রথমবারের মতো চিটাগুড় আমদানি হওয়ায় বিদেশি জাহাজটির ক্যাপ্টেন, নাবিক, আমদানিকারক ও শিপিং এজেন্ট প্রতিনিধিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোংলা কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর শফিকুল ইসলাম সরকারসহ অন্যান্যরা।
মাকরুজ্জামান আরও জানান, ২০২২ সালের ২৮ জুলাই মোংলা বন্দরের মাধ্যমে সর্বপ্রথম গার্মেন্টস পণ্য রফতানি এবং ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো হিমায়িত ফল আমদানি শুরু হয়। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে প্রথম ৭ মাসে মোংলা বন্দরে ৪৯৬টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ আগমন করে। এ সময়ে ৬৫ লাখ ৬২ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি-রফতানি করা হয়। এর মধ্যে ২৩টি কনটেইনারবাহী জাহাজ থেকে ১২ হাজার ৮৩ টিইইউজ কনটেইনার লোডিং-আনলোডিং এবং ১২টি গাড়ির জাহাজ থেকে ৬৭৫১ ইউনিট রিকন্ডিশন গাড়ি খালাস করা হয়।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রাণপ্রবাহ এ বন্দরটি লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি বর্তমানে খাদ্যশস্য, সিমেন্ট ক্লিংকার, সার, মোটরগাড়ি, মেশিনারিজ, চাল, গম, কয়লা, তেল, পাথর, ভুট্টা, তেলবীজ, এলপিজি গ্যাস আমদানি এবং সাদামাছ চিংড়ি, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, হিমায়িত খাদ্য, কাঁকড়া, ক্লে টাইলস, রেশমি কাপড় ও জেনারেল কার্গো রফতানির মাধ্যমে দেশের চলমান উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে বলেও জানান তিনি।