যশোরের মণিরামপুরে পাটকলের এক নারী শ্রমিককে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে শনিবার রাতে দুই ব্যক্তিকে আসামি করে মণিরামপুর থানায় মামলা করেন। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের একটি বাগানে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
এরই মধ্যে এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলো- মণিরামপুরের মনোহরপুর গ্রামের হালিম সরদারের ছেলে আবু সাঈদ (২৪) এবং একই গ্রামের মো. হাদিউজ্জামানের ছেলে মো. হাবিবুল্লাহ (২৩)। ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে একই পাটকলে শ্রমিকের কাজ করতো তারা।
ওই নারীর অভিযোগ, অভয়নগর উপজেলায় একটি পাটকলে তিনি শ্রমিকের কাজ করেন। তার একটি শিশুসন্তান রয়েছে। ৮ থেকে ৯ বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকে বাবার বাড়িতে থেকে পাটকলে কাজ করছেন। গত শুক্রবার রাতে মনোহরপুর ইউনিয়নের একটি বাগানে ধর্ষণের শিকার হন তিনি।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, শুক্রবার বিকালে বিকাশে টাকা পাঠাতে উপজেলার কালীবাড়ি মোড়ে যান এই নারী শ্রমিক। সেখানে তার পরিচিত এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হয়। এরপর তারা ভ্যানে করে ঘুরতে বের হন। সন্ধ্যার পর মনোহরপুর কারিগরি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে ছিলেন। এ সময় আবু সাঈদ মোটরসাইকেলে করে এবং কিছুক্ষণ পরে মো. হাবিবুল্লাহ সেখানে আসে। অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে তাদের কাছে টাকা দাবি করে ওই দুই ব্যক্তি। ওই নারীর সঙ্গে থাকা ব্যক্তি তার মোবাইলে থাকা দুই হাজার টাকা তুলে হাবিবুল্লাহকে দেন। রাত ১০টার দিকে আবু সাঈদ ও হাবিবুল্লাহ ওই নারী শ্রমিককে পাশের বাগানে নিয়ে যায়। এরপর হাবিবুল্লাহর সহযোগিতায় আবু সাঈদ ওই নারীকে ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে হাবিবুল্লাহকে আটক করে পুলিশ। এরপর বিকালে ওই নারীর কর্মস্থল অভয়নগর উপজেলার পাটকলটি থেকে আবু সাঈদকে আটক করা হয়।
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার নারী বাদী হয়ে দুজনের নামে মামলা করেছেন। আমরা অভিযোগ পেয়েই দুজনকেই গ্রেফতার করেছি। আসামিদের মধ্যে একজন ধর্ষণের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। আরেকজন তার সহযোগী। রবিবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের শিকার নারীর মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।’