জুলাই আন্দোলনে আহতদের প্রতি সম্মান ও সহযোগিতার অংশ হিসেবে যশোরে গেজেটভুক্ত ‘সি’ গ্রুপের ৬৬ জন আহতকে সরকারিভাবে এককালীন আর্থিক অনুদানের চেক প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এই অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সরকারিভাবে গেজেটভুক্ত হিসেবে চিহ্নিত আহতদের তালিকার ভিত্তিতে এই সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। সেই আন্দোলনে যারা জীবন বাজি রেখে অংশ নিয়েছিলেন, তাদের প্রতি জাতির দায়বদ্ধতা রয়েছে। এই অনুদান সেই দায়িত্ববোধেরই অংশ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- যশোরের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন নাজমুস সাদিক রাসেল, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজিবুল আলম, যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন সাফায়াত, প্রেসক্লাব যশোরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান কবীর, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খান প্রমুখ।
এদিকে, চেক বিতরণকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিছু সদস্যের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা একাংশের অভিযোগ, আহতদের তালিকাটি শতভাগ নির্ভুল নয় এবং কিছু প্রকৃত আহত ব্যক্তিকে গেজেটভুক্ত করা হয়নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, আমরা সরকারিভাবে এই অনুদানকে স্বাগত জানাই। তবে তালিকা তৈরিতে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কিছু প্রকৃত আহত ব্যক্তি এখনও সরকারি স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক জানান, তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ের যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। যদি নতুন করে কেউ প্রমাণসহ আবেদন করেন, তাহলে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিবেচনায় নিতে পারেন।
তিনি বলেন, ছাত্র প্রতিনিধিদের দিয়েই তালিকা যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। দরকার হলে আবার যাচাই-বাছাই করা হবে। বিচলিত হওয়ার কিছু নেই।