মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপিতে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে বিএনপির দুই গ্রুপের ১৫ জন আহত হয় বলে জানান স্থানীয়রা।
এতে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানের গাড়ি ভাঙচুরসহ তার পক্ষের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের মধ্যে বিএনপি নেতা মনোয়ারুল হোসেন চঞ্চল, আজিমুল বারি লাভলু, কাজী মিজান মেনন অন্যতম।
শুক্রবার (২৩ মে) সকাল থেকেই কয়েক দফা এ সংঘর্ষ চলে। লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে উভয়পক্ষ মুখোমুখি হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা বলছেন, ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত এবং সম্মেলন বানচালের উদ্দেশ্যেই হামলা হয়েছে। পরে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব কামরুল হাসানের লোকজনদের অভিযোগ, আমঝুপি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ও তার ভাই সফিকুল ইসলামসহ তাদের কর্মী সমর্থকরা এ হামলা চালিয়েছে। তারা সম্মেলনস্থলে নেতাকর্মীদের আসতে বাধা প্রদান করেছেন। প্রতিরোধ করতে গিয়েই হামলা শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন আহতরা।
ঘটনা জানতে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামকে কয়েকবার ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি। সম্মেলনস্থলে তাকে আর পাওয়া যায়নি।
খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন চলছিল। সম্মেলনে উপস্থিত আছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাভেদ মাসুদ মিল্টন, সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম, ফয়েজ মাহমুদ, আলমগীর খান ছাতু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইলিয়াস হোসেন, কাজি মিজান মেনন, ওমর ফারুক লিটন, এম এ কে খায়রুল বাশারসহ জেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতা নেতাকর্মীরা।
স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং নেতৃত্বের দ্বন্দ্বই এ সহিংসতার মূল কারণ।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘সংঘর্ষের পরপরই পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’