শেরপুর-১ (সদর) আসনে বিএনপির প্রার্থী ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা অভিযোগ করেছেন তার গাড়িবহরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভাঙচুর চালিয়েছে। এতে তাদের ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, একই আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আতিউর রহমান আতিকের মেয়ে ডা. শারমীন রহমান অমি প্লাল্টা অভিযোগ করেন, বিএনপি প্রার্থীর নির্দেশে তাদের গাড়িবহরেও হামলা চালানো হয়েছে।’
প্রিয়াংকা সাংবাদিকদের জানান, সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে সদর উপজেলা ঘুঘুরাকান্দি এলাকায় নিজের একটি পাজারো গাড়িতে তার মা ও আত্মীয়-স্বজনসহ দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে নিয়মিত গণসংযোগে বের হন। সাড়ে ৪টার দিকে ঘুঘুরাকান্দি গ্রামে পৌঁছালে সেখানকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গণসংযোগে বাঁধা দিয়ে গাড়ি বহরটি ফিরিয়ে দেন। এসময় তারা শান্তিপূর্ণভাবে গাড়িটি ঘুরিয়ে আসার সময় গাড়ির পেছনের ও দুই পাশের কাঁচ ভেঙে ফেলে এবং গাড়িতে বসা লোকজনের ওপর হামলা করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা । এতে প্রার্থীর খালা ও ভাইসহ ১০ জন আহত হন।
এদিকে, ডা. শারমীন রহমান অমি সাংবাদিকদের জানান, আমি আমার ছোটবোন ও স্বামীকে নিয়ে বলাইয়েরচরে একটি নির্বাচনি সভায় অংশ নিতে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ দেখি বিএনপি প্রার্থী প্রিয়াংকার একটি গাড়িবহর আসছে। তখন আমি ড্রাইভারকে বলি আমাদের গাড়ি সাইট করতে। দেখি বিএনপি প্রার্থী প্রিয়াংকা কয়েকটি ছেলেকে আমার গাড়ি দেখিয়ে দিচ্ছে, তার পরক্ষণেই আমাদের গাড়িতে অস্ত্র নিয়ে হামলা করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। তখন স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করেন। এতে আমি, আমার স্বামী ও ছোটবোন আহত হই।
বিএনপি প্রার্থী গাড়ি নিয়ে শহরে এসে বিষয়টি অবগত করতে জেলা রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আনারকলি মাহবুবের কার্যালয়ে গেলে প্রথমে রিটার্নিং কর্মকর্তা তাকে সময় না দেওয়ায় তার দরজার সামনে বসে প্রায় ২০ মিনিট অবস্থান নেন ডা. প্রিয়াংকা। এদিকে, কার্যালয়ের নিচে উত্তেজিত নেতাকর্মী ও আত্মীয়রা ক্ষোভ জানালে সেখানে অবস্থানরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রার্থীর ১১ জন আত্মীয় ও সমর্থককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। একপর্যায়ে প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। রিটানিং কর্মকর্তাও ঘটনাস্থলে আসেন। ডা. পিয়াংকা রিটানিং কর্মকর্তাকে এ ঘটনার বিচারসহ তার নিরাপত্তার দাবি জানান।
জেলা রিটানিং কর্মকর্তা এসময় প্রার্থীকে শান্ত করে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। রিটানিং কর্মকর্তা ঘটনাটি নির্বাচনি ইলেক্ট্ররিয়াল সেলে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন।
শেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল হোসেন জানান, বিএনপির প্রার্থী ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার শিকার হওয়ার পর পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।