অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) এক সদস্য দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন বলে পুলিশ দাবি করেছে।
স্বীকারোক্তি দেওয়া মাসকাওয়াত হাসান সাকিব ওরফে আব্দুল্লাহ বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সাজুরিয়া গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে। তিনি রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র।
সোমাবার বিকালে রাজশাহী মহানগর মুখ্য হাকিম আদালত ২-এর বিচারক খালেদ হোসেন খানের খাস কামরায় জেএমবি হিসেবে চিহ্নিত আব্দুল্লাহ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে আদালত ও পুলিশের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। স্বীকারোক্তির পরে আব্দুল্লাহকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করে রাজশাহী মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে জেএমবি সদস্য আব্দুল্লাহকে গ্রেফতারের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন কমিশনার শামসুদ্দিন।
রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মুখপাত্র ইফতে খায়ের আলম জানান, গতকাল রবিবার (১৫ মে) গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে তাকে আটক করা হয়। আজ সোমবার তাকে আদলতে পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ এপ্রিল শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় রাজশাহীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাসা থেকে ১৫০ গজ দূরে অধ্যাপক রেজাউল করিমকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ওইদিন নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা করেন শিক্ষকের ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ।
ওই মামলায় এর আগে আরও তিনজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। তারা হলেন, বাগমারা দরগামাড়িয়া গ্রামের মসজিদের ইমাম রায়হান আলী, শিবির নেতা হাফিজুর রহমান ও কর্মী খায়রুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্যের বিরুদ্ধে ডিগ্রি জালিয়াতির অভিযোগ
/এআর/টিএন/