কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগ নেতা খালিদ সাইফুল্লাহ নিহতের মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার রাতে জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় কুবির নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাদেক হোসেন মজুমদার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন।
ডিবিতে মামলা হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন। ডিবির এসআই শাহ কামাল আকন্দকে মামলার তদন্ত ভার দেওয়া হয়েছে ।
শিক্ষার্থী সূত্র জানায়, শোকাবহ আগস্টের প্রথম প্রহরে কুবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আবাসিক হলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের সময় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কুবির শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ গ্রুপের সঙ্গে কুবি ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান আলিফ গ্রুপের কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে সবুজ গ্রুপের ছাত্রলীগ নেতা খালিদ সাইফুল্লাহ নিহত হন। পরে পুলিশ ছাত্রদের হলে অভিযান চালিয়ে একটি পিস্তলসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।
নিহত ছাত্রলীগ নেতা ও মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র খালিদ সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় ছয় ছাত্রকে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ওই ছাত্ররা হচ্ছেন, গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র (ধীরেন্দ্র নাথ হল) রেজাউল ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম (ধীরেন্দ্র নাথ হল), লোক প্রশাসন বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র আবু বকর সিদ্দিক (ধীরেন্দ্র নাথ হল), বিবিএ শেষ বর্ষের ছাত্র সুদিপ্ত নাথ (ধীরেন্দ্র নাথ হল), বিবিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রুপম চন্দ্র দেবনাথ ( কাজী নজরুল ইসলাম হল) এবং নৃ-বিজ্ঞান তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সজন বরণ বিশ্বাস।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এসআই শাহ কামাল আকন্দ জানান, ওই ছাত্র নিহতের ঘটনায় যারাই জড়িত তাদের সবাইকে গ্রেফতার করা হবে। কাউকে হয়রানিমূলকভাবে গ্রেফতার করা হবে না।
ডিবির ওসি একেএম মঞ্জুর আলম জানান, ‘বর্তমানে ডিবির কার্যালয়ে কুবির ছয় ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদের মধ্যে ওই ছাত্র হত্যায় কারও জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।’
আরও পড়ুন:
মেজর জিয়া ও তামিম চৌধুরীকে ধরিয়ে দিতে ৪০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা
/বিটি/