মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা দেলোয়ার হোসেন রিপনকে তওবা পড়াতে নগরীর শাহ আবু তোরাব জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মুফতি বেলাল উদ্দিন ও তার এক সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেছেন কারা বিভাগের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) একেএম ফজলুল হক। বুধবার সন্ধ্যা ৮টা ৪৫ মিনিটে তারা কারাগারে প্রবেশ করেন।
এর আগে জেল সুপার মো. ছগির মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রিপনের ফাঁসি কার্যকর করার জন্য ৮৫ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জল্লাদ ফারুকের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্যানেলকে প্রস্তুত করা হয়েছে। তারা ইতোমধ্যে কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেছে।’
কারা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১২ এপ্রিল) রাত ১০টার পরে জঙ্গি দেলওয়ার হোসেন রিপনের ফাঁসি কার্যকর হবে। এজন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে জোরদার করা হয়েছে কারাগারের নিরাপত্তা। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জল্লাদ ও ফাঁসির মঞ্চ। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকালে রাষ্ট্রপতির কাছে করা রিপনের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ সংক্রান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে। এরপর তা রিপনকে পড়ে শোনানো হয়। পরে বিকালে বাবা আ. ইউসুফ, মা আজিজুন্নেছা, ভাই নাজমুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রিপনের সঙ্গে দেখা করেন।
উল্লেখ্য, সিলেটের হযরত শাহজালালের (রা.) মাজারে ২০০৪ সালের ২১ মে আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন। ওই মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত পাঁচ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ১৯ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মুফতি হান্নানের রিভিউ আবেদন খারিজ করে আগের রায় বহাল রাখেন। এরপর তিন আসামিই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। রাষ্ট্রপতি আবেদন খারিজ করে দেন। এখন ফাঁসি কার্যকরে আর কোনও আইনি বাধা নেই। মুফতি হান্নান ও বিপুল গাজীপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে বন্দি আছেন। আজ রাতে তাদেরও ফাঁসি কার্যকর করার কথা রয়েছে।
/এমএ/টিএন/