বগুড়ায় সদ্য এসএসসি পাস করা এক ছাত্রীকে কলেজে ভর্তি করানোর কথা বলে বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ এবং পরে বিচারের নামে মা সহ তাকে ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার চার আসামিকে আদালতে নিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে তিন জনের সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে এই আবেদন শুনানির অপেক্ষায় আছে।
গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলেন- বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান সরকার (২৮), কসাইপাড়ার দুলু আকন্দের ছেলে আলী আজম দিপু (২৫), খান্দার সোনারপাড়ার মোখলেসার রহমানের ছেলে আতিক (২৫) ও কালিতলার জহুরুল হকের ছেলে রুপম (২৪)। শুক্রবার (২৮ জুলাই) তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে আতিক ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, গত ১৭ জুলাই ওই ছাত্রীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে তুফান। পরে স্থানীয় এক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সহযোগিতায় উল্টো মেয়েটিকেই এ ঘটনার জন্য দায়ী করে এবং বিচারের নামে মাসহ মেয়েটিকে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়। এরপর তাদের এলাকা ছাড়া করার জন্য এসিড মারার হুমকি দেওয়া হয়। শুক্রবার (২৮ জুলাই) দুপুরে তাদের চুল কেটে দিলে নির্যাতনের শিকার ওই মা-মেয়ে থানায় মামলা করেন। এরপর শুক্রবার রাতেই চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তুফান ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ ও অন্যরা সহযোগিতার কথা স্বীকার করেছে। তুফানের বিরুদ্ধে একটি মাদক আইনের মামলা বিচারাধীন রয়েছে। শিগগিরই কাউন্সিলর রুমকি ও অন্য আসামিরা গ্রেফতার হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
বগুড়া সদর থানার ওসি এমদাদ হোসেন জানান, শনিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে কিশোরীর মা সদর থানায় তুফান, তার আত্মীয় সংরক্ষিত আসনের স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ ও অন্যান্য ধারায় মামলা করেছেন।
মা ও মেয়ে বর্তমানে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের ফিমেল সার্জারি বিভাগে ভর্তি আছেন।
/এফএস/
আরও পড়ুন-
ধর্ষণের পর নির্যাতিতা ও তার মাকে ন্যাড়া: নারী কাউন্সিলরকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ
ধর্ষণের পর নির্যাতিতা ও তার মায়ের মাথা ন্যাড়া, শ্রমিক লীগ নেতাসহ গ্রেফতার ৪