মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় প্রশ্ন ফাঁসের কারণে ১১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাসলিমা বেগম প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি তদন্তে জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, সহকারী শিক্ষা অফিসার আব্দুল মতিন, আসাদুজ্জামান, সানজিদা আক্তার।
জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা জানান, প্রশ্ন ফাঁস হওয়ায় আজকের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এই পরীক্ষার জন্য ‘রিসিডিউল’ করা হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পঞ্চানন বালা জানান, কে বা কারা ফাঁস হওয়া প্রশ্নের একটি কপিও জেলা প্রশাসকের ই-মেইলে পাঠায়। পরে ওই প্রশ্নের সঙ্গে মূল প্রশ্নের মিল পাওয়ায় জেলা প্রশাসক পরীক্ষা স্থগিত করেন। আবার পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
প্রশ্ন ফাঁসের ব্যাপারে নিজের দায় নেই দাবি করে পঞ্চানন বালা বলেন, ‘সদর উপজেলার শিক্ষা অফিসাররা প্রশ্নপত্র তৈরির কমিটিতে ছিলেন। বিষয়টি তারাই দেখেন, আমরা দেখি না।’
অন্যদিকে, উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাসলিমা বেগমও নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘আমি শতভাগ গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি এ ব্যাপারে আমার কোনও দায় নেই।’
অন্যদিকে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন কমিটিতে যারা ছিলেন তাদের দিয়ে কমিটি গঠন করা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাসলিমা বেগম বলেন, ‘এছাড়া আর কিছুই করার নেই।’