পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের কথা কোনোভাবেই বিশ্বাস করছে না। যার কারণেই তারা দেশে যেতে চাচ্ছে না। তাদের ভেতরে ভয় ও নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।’
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সিলেট নগরের ধোপা দিঘির পাড়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা মিয়ানমারকে বলেছিলাম, তোমাদের দায়িত্ব রোহিঙ্গাদের বোঝানো। তারা কেন দেশে যাচ্ছে না? তাদেরকে বলা হয়েছিল রোহিঙ্গাদেরকে বিশ্বাস করাতে হলে তাদের যারা নেতা রয়েছে তাদেরকে মিয়ানমার নিয়ে তাদের জন্য কী কী করা হয়েছে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করিয়ে নিয়ে আসা। তাহলে তাদের নেতারাই তাদেরকে বোঝাতে সক্ষম হবে। এক কথায় মিয়ানমার তাদের লোককে বোঝাতে ব্যর্থতার প্রমাণ দিচ্ছে। রোহিঙ্গা সমস্যা কিন্তু বাংলাদেশের সমস্যা তা মনে করলে ভুল হবে। এই সমস্যা পুরো বিশ্বের সমস্যা। এক্ষেত্রে অন্য দেশগুলোকে বিশেষ ভূমিকা রাখা উচিত।’
রোহিঙ্গাদের শোডাউনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গারা লাখ লাখ টাকা খরচ করে যে শোডাউন করেছে তা আমাদের নজরে আছে। এমনকি শোডাউনের সময় রোহিঙ্গাদের হাতে দেখা গেছে মোবাইল ফোন। অথচ তাদের কোনও জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। আমরা শুনেছি এগুলো বিভিন্ন এনজিও রোহিঙ্গাদের কাছে সরবরাহ করেছে। এছাড়াও তারা বিলবোর্ড, প্ল্যাকার্ড, প্রচারপত্র বিলি করেছে। এসব প্রচারপত্রে তারা বলেছে- তাদের পাঁচটি শর্ত পূরণ না হলে তারা যাবে না। এসব কাজে যারা তাদেরকে সহযোগিতা করছেন এবং কেউ কেউ দা-কুড়াল তৈরি করতে সহায়তা করছেন আমরা তাদেরকে শনাক্ত করেছি। তাদেরকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে যতদিন রোহিঙ্গা থাকবে ততদিন এদেশের আইনকানুন তাদেরকে মেনে চলতে হবে। না মানলে এদেশের আইনে শাস্তি পেতে হবে।
বিএনপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিএনপির মনে শান্তি নেই। তাই তারা অনেক কিছুই বলে। তাদেরকে বলতে দেন। তাদের কথায় কিছুই যায় আসে না। তারা কিন্তু গঠনমূলক কথা বলে না। দেশের অনেক উন্নতি হচ্ছে কিন্তু তারা বলে কোনও উন্নতি হয়নি। তারা সব পারে কিন্তু একটা সমাবেশ করতে পারে না।’