গাজীপুরের শ্রীপুরে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার চার আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে রিমান্ড শুনানিশেষে গাজীপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-৩ আদালত এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতের পরিদর্শক মো. রকিবুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
আসামিরা হলো– কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার নৈয়পুর গ্রামের শরীফ হোসেন (১৮), ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উজান চন্দ্রপাড়া গ্রামের ইমরান হাসান সুজন (১৯), শ্রীপুর উপজেলার স্থানীয় নয়নপুর গ্রামের শরীফ উদ্দিন মোল্লা (২০) ও ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার গোলাভিটা গ্রামের আহসান ওরফে হাসান (১৬)।
আদালতের পরিদর্শক জানান, এ মামলায় গত শুক্রবার চার ধর্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে রবিবার বিকালে গাজীপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩-এর আদালতে পাঠানো হয়। আদালতের বিচারক মঙ্গলবার তাদের রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য করে গ্রেফতার ব্যক্তিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার দুপুরে রিমান্ড শুনানিশেষে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-৩ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন প্রথমোক্ত তিনজনের প্রত্যেককে তিন দিনের এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক এমএলবি মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ শেষোক্ত আসামিকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল সাকিব জানান, শ্রীপুরের নয়নপুর এলাকার শিশুশিক্ষা মডেল স্কুল অ্যান্ড একাডেমির অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গত ১৫ জানুয়ারি জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় এক প্রতিবেশী। এরপর জন্মদিনের কেক কেটে সবাই আনন্দ-উল্লাস করে। একপর্যায়ে কৌশলে শরীফ ও তার বন্ধুরা ওই স্কুলছাত্রীকে অজ্ঞান করে। পরে পাশের এক ঝোঁপে নিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে এবং শরীফসহ চার বন্ধু মিলে রাতভর ধর্ষণ করে এবং ভয়ভীতি দেখায়। পরে ধর্ষকরা স্থানীয় একটি সেলুনে বসে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে মোবাইল ফোনে ভিডিও ফুটেজ ধারণ করে। পরে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করে। এ ঘটনায় ১৬ জানুয়ারি কিশোরীর মা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব ১-এর স্পেশালাইজ কোম্পানি পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের সদস্যরা শুক্রবার রাতে গাজীপুর ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার এজহারভুক্ত আসামি ধর্ষক চার বন্ধুকে গ্রেফতার করে পুলিশে সোপর্দ করে।
