বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগের অনুমোদনের দাবিতে টানা দশ দিন ধরে আন্দোলন চলছে। এ কারণে ক্লাস-পরীক্ষাসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম সবকিছুই স্থগিত রয়েছে। দশম দিনের মতো শনিবারও (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিক্ষোভে উত্তাল রয়েছে ক্যাম্পাস। তবে কবে এই অচলাবস্থার নিরসন ঘটতে পারে, সে ব্যাপারে কেউ স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছেন না।
জানা যায়, প্রতিদিনের মতো শনিবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক ভবনে তালা মারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ইতিহাস বিভাগের অনুমোদন দেওয়াসহ তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালানোর ঘোষণায় অনড় রয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
এ ব্যাপারে ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তারিমুল হক বলেন, ‘যতদিন দাবি পূরণ না হয়, এই আন্দোলন চলবে।’
তবে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. মো. শাহজাহান বলেছেন, ‘যেহেতু আমি উপাচার্যের পূর্ণ দায়িত্বে নেই, সেহেতু এটি নিয়ে আমি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং করতে পারি না। পূর্ণ দায়িত্বের উপাচার্য নিয়োগ পেলে তিনি অ্যাকাডেমিক কমিটির বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়ে ইউজিসিতে পাঠাবেন। তারপর বিভাগ চালুর বিষয়ে ইউজিসি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে।’
প্রসঙ্গত, ৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) অনুষ্ঠিত এক সভায় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ইতিহাস বিভাগের অনুমোদন না দিয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপর শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। বর্তমানে এই বিভাগে ৪১৩ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় নিজ উদ্যোগে বিভাগটি চালু করেছিল।