ভ্রাম্যমাণ আদালতের উদ্ধার ২১ ড্রাম (প্রায় ৯৫০ লিটার) সরিষার তেল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে যশোরের বাঘারপাড়া থানার বিদায়ী ওসি জসিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে। তবে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি করেছেন যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ সার্কেল) জামাল আল নাসের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি বাঘারপাড়া উপজেলার নারিকেলবাড়িয়ায় একটি ভেজাল গুড়ের কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালান। অভিযানে নেতৃত্ব দেন বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া আফরোজ। ওই সময় প্রায় ১০ হাজার কেজি ভেজাল গুড়, আনুমানিক দুই হাজার লিটার ভেজাল সরিষার তেল ও বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য, চিনির খালি বস্তা জব্দ করা হয়। জব্দ করা মালামাল বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দীনের হেফাজতে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া আফরোজ। ওসি মালামাল বুঝে নিয়ে একটি ট্রাকে করে সেগুলো থানায় নিয়ে যান। পরদিন তা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতিতে বাঘারপাড়া পৌরসভার ময়লাখানায় ধ্বংস করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধার করা ভেজাল তেলের মধ্যে থেকে ওসি জসিম উদ্দীন ২১ ড্রাম (প্রতি ড্রামে প্রায় ৪৫ লিটার) আত্মসাতের উদ্দেশ্যে থানা ভেতরে পরিত্যক্ত একটি ঘরে লুকিয়ে রাখেন। এ সংবাদ জানাজানি হলে ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ সার্কেল) জামাল আল নাসের বিষিয়টি তদন্ত করতে বাঘারপাড়া থানায় আসেন। তদন্ত শেষে তিনি অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পান। এ বিষয়ে থানায় একটি জিডিও করেন তিনি। যার নম্বর ২২২৬।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল আল নাসের বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। ২/১ দিন সময় লাগবে। তদন্ত না করে এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।’
বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া আফরোজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘জব্দ করা মালামাল ওসির হেফাজতে দেওয়া হয়। সেখানে ৪০ ড্রামের মতো তেল ছিল। পরদিন ওগুলো ধ্বংস করার জন্য ময়লাখানায় নেওয়া হয়। তেল ও গুড়ের রঙ একই রকম হওয়ায় তখন বোঝা যায়নি।’ তদন্ত করলে আত্মসাতের বিষয়টি বেরিয়ে আসবে বলেও মত দেন ইউএনও তানিয়া আফরোজ।