কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের সৌদিআরব ফেরত এক ব্যক্তির ভাই সর্দি-জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত হওয়ায় করোনাভাইরাস সন্দেহে তার নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত ওই ব্যক্তির গ্রামের আরও একজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এই দুই ব্যক্তি ছাড়াও করোনাভাইরাস সংক্রমনের উপসর্গ থাকায় কুড়িগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকে সাত জনের নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য বিভাগ। সোমবার (৬ এপ্রিল) ওই ৯ ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নজরুল ইসলাম জানান, উপজেলার মোঘলবাসা ইউনিয়ন থেকে দুই জন ও ভোগডাঙা ইউনিয়ন থেকে একজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরা সবাই ঢাকা ফেরত। এদের মধ্যে কিছু উপসর্গ থাকায় তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ৪ এপ্রিল পৌর এলাকা থেকে একজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে ওই যুবকের শারীরিক অবস্থা এখন অনেক ভালো বলে জানান ডা. নজরুল।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সাজ্জাদ মো. সায়েম জানান, উপজেলার দুটি ইউনিয়ন থেকে দুই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এদের একজন নির্মাণ শ্রমিক আর একজন মাছ বিক্রেতা। তারা উভয়েই ঢাকায় কর্মরত ছিলেন।
তিনি আরও জানান, এদের মধ্যে মাছ বিক্রেতা ব্যক্তি ঢাকায় যে এলাকায় ছিলেন সেখানে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। সে জন্য সতর্কতামূলক তার শরীরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে তিনি বর্তমানে সুস্থ আছেন। অপর ব্যক্তির জ্বর-সর্দি থাকলেও তার অবস্থা ভালো আছে। তবু সতর্কতা হিসেবে দুই ব্যক্তিসহ তাদের পরিবারের লোকজনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
এদিকে জেলার উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের দুই ব্যক্তি জ্বর-সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হওয়ায় তাদের নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এদের মধ্যে এক ব্যাক্তির ভাই সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন। উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুভাস চন্দ্র সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়াও জেলার রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলা থেকে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে দুই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এর আগে, জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে সাত জনের নমুনা সংগ্রহ করা হলেও তাদের করোনা সংক্রমণ পরীক্ষার ফলাফল এখনও পাওয়া যায়নি।
সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান জানান, আগের সাত জনসহ মোট ১৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। আগের সাত ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। এ নিয়ে কাউকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।