বান্দরবান পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড আর্মিপাড়ায় কোনও তালিকা না করে এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে না জানিয়ে নিজেই সরকারি ত্রাণ বিতরণের চেষ্টা করেছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. সিদ্দিক। তবে এলাকাবাসীর তা প্রতিহত করেছে। জানা যায়, মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সকালে নিজের ইচ্ছা মতো পার্বত্য জেলা পরিষদের দেওয়া ১৫০ বস্তা ত্রাণ বিতরণের সময় এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়ে তা বন্ধ করতে বাধ্য হন মো. সিদ্দিক।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ত্রাণ বিতরণ করবেন খবর পেয়ে এলাকার লোকজন জড়ো হয়। এসময় মাত্র ১৫০ জনকে ত্রাণ দেওয়া হবে জানতে পেরে এলাকার লোকজন ত্রাণ বিতরণে বাধা দেয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়রা জানান, মানুষ আছে এক হাজারের মতো। কিন্তু ত্রাণ এসেছে মাত্র ১৫০ প্যাকেট। এগুলো আওয়ামী লীগ নেতারা পৌরসভার কাউন্সিলরকে বাদ দিয়ে এবং কোনও তালিকা না করে নিজের পছন্দ মানুষকে দিয়ে দিচ্ছে। এর আগেও এভাবে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা আরেও জানান, এভাবে তালিকা না করে ত্রাণ বিতরণ করায় বারবার একই ব্যক্তি ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছে। আবার অনেকে একবারও পায়নি।
এ বিষয়ে ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সিদ্দিক ড্রাইভার বলেন, 'আগেরবার তালিকা করা হলেও সময়ের অভাবে এবার তালিকা করা যায়নি। যেহেতু ত্রাণ বিতরণ বন্ধ হয়ে গেছে, তাই তালিকা তৈরি করেই পরবর্তীতে ত্রাণ বিতরণ করা হবে।'
ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে ত্রাণ বিতরণের বিষয়টি না জানানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এই ত্রাণ ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিতরণ করার নিয়ম নাই।'
এ বিষয়ে ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শামসুল হক শামু জানান, ওয়ার্ড কাউন্সলরের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ করার নিয়ম থাকলেও আজকের ত্রাণ বিতরণের বিষয় সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।