শরীয়তপুরের জাজিরায় পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রকে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে একটি গ্যাং এর বিরুদ্ধে। নিহত শাকিল মাদবর (১৫) জাজিরা উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নের সালাম মাদবরের ছেলে। এ ঘটনায় সাকিব ও ইমরান নামে দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ।
জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ জুন বিকালে শাকিল মাদবরকে ক্রিকেট খেলার কথা বলে প্রতিবেশী সাকিব ডেকে নিয়ে যায়। কিন্তু অনেক রাত হয়ে গেলেও শাকিল বাসায় ফিরে না আসায় তার বাবা সাকিবদের বাড়িতে ছেলের খোঁজ নিতে যান। তখন সাকিব জানায় শাকিল মাঝিরঘাট গেছে, চলে আসবে। পরদিন সকালে একটি নম্বর থেকে মেসেজ পাঠিয়ে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়, না হলে শাকিলকে মেরে গুম করে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।
বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ প্রথমে সাকিবকে আটক করে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ইমরান নামে একজনকে আটক করে। এক পর্যায়ে তারা শাকিলকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে রাখার কথা স্বীকার করে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আক্তার, সজীব, মহসিন ও স্বপন নামে আরও চার জন জড়িত ছিল বলে জানায়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শুক্রবার দিনগত রাত ২টার দিকে মাঝিরঘাট এলাকার শুক্কুর মৃধার বাড়ির কাছে মাটির নিচ থেকে শাকিলের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত শাকিলের বাবা সালাম মাদবর বাদী হয়ে শনিবার (২৭ জুন) সকালে জাজিরা থানায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছয় জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলো- সাকিব (২০), আক্তার মাদবর (২৬), সজিব মাঝি (২২), ইমরান মোড়ল (২০), মহসিন হাওলাদার (২৫) এবং স্বপন সরদার (৪৫)।
নিহত শাকিলের বাবা সালাম মাদবর বলেন, ‘আমার ছেলেকে ওরা নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। আমি ওদের সবার ফাঁসি চাই।’
জেলা পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।’