লুৎফর রহমান (৭০) নামে যশোরে আরেক করোনা রোগী মারা গেছেন। সোমবার সন্ধ্যায় যশোরের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল জিডিএল-এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
যশোরের সিভিল সার্জন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ নিয়ে সরকারি হিসেবে যশোরে করোনা আক্রান্ত মোট ১১জন মারা গেলেন।
এদিকে, গত ২৬ জুন রাতে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া যশোর শহরের মানিকতলা এলাকার শামিমুর রহমান নামে অপরজনের করোনা পরীক্ষার ফলাফল আজ সকালে পায় স্বাস্থ্য বিভাগ। পরীক্ষার ফলাফলে তিনি পজিটিভ ছিলেন।
ডেডিকেটেড হাসপাতাল জিডিএল -এর ইনচার্জ ডা. পলাশ কুমার দাস বলেন, যশোর উপশহর ই-ব্লক এলাকার লুৎফর রহমান গত ২৪ জুন হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগের পাশাপাশি কোভিড-১৯ পজিটিভ ছিলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বর্তমানে হাসপাতালটিতে ২২জন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে গত ২৬ জুন উপসর্গ নিয়ে মারা যান শামিমুর রহমান (৩৮)। সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, আজ যেসব রিপোর্ট পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়, তার মধ্যে শামিমের নমুনাটিও রয়েছে।
শামিমুর রহমান যশোর শহরের কাজীপাড়া এলাকার আনিসুর রহমানের ছেলে।
প্রায় তিন সপ্তাহ অসুস্থ থাকার পর তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। করোনার উপসর্গ থাকায় গত ২৬ জুন সকালে হাসপাতাল থেকে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু সন্ধ্যার দিকে অবস্থার অবনতি হলে তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় খুলনায়। সেখানকার বেসরকারি গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাত দশটার দিকে মারা যান শামিম। আজ তার করোনা পরীক্ষার পজিটিভ ফলাফল পাওয়া যায়।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ নিয়ে যশোর জেলায় মোট ১১জন করোনা আক্রান্ত মারা গেলেন। ২৯ জুন পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন ৫৫৫ জন যার মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৭২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে নতুন শনাক্ত হয়েছে ৩৯ জন।