X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রামে ধর্মীয় সম্প্রীতি অনেক বেশি: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
০২ আগস্ট ২০২০, ২৩:০১আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০২০, ০০:৫৪

 

গ্রামে ধর্মীয় সম্প্রীতি অনেক বেশি: তথ্যমন্ত্রী তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘গ্রামে ধর্মীয় সম্প্রীতি অন্য জায়গার তুলনায় অনেক বেশি। আমরা গ্রামে সব ধর্মের মানুষ মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান একসঙ্গে ভাই ভাই হিসেবে বড় হয়েছি। এটি সমগ্র বাংলাদেশের চিত্র।’ রবিবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় তথ্যমন্ত্রীর গ্রামের বাড়ি সুখবিলাস ভগবানপুর ধর্ম্মাংকুর বৌদ্ধবিহারে জ্ঞাতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় নিজ গ্রামের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের গ্রামে এই সম্প্রীতি অন্যান্য জায়গার তুলনায় আরও বেশি। আমাদের এখানে কখনও কোনও ভেদাভেদ ছিল না, ভবিষ্যতেও থাকবে না, কেউ চেষ্টা করলেও সেটা নষ্ট করতে পারবেন না।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের যখন প্রবারণা পূর্ণিমা অনুষ্ঠিত হয় তখন ফানুস ওড়ানো হয়। তখন কিন্তু শুধু বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ নয়, সবাই মিলে ফানুস ওড়ান। সবাই কিন্তু সেই উৎসবে শামিল হয়। আমাদের যখন ঈদ উৎসব হয় তখন মুসলমানদের বাড়িতে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই শামিল হন। এটাই আমাদের ঐতিহ্য।

বৌদ্ধ বিহারের স্মৃতি রোমন্থন করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ছোটবেলা থেকে আমি এই বিহারে আসতাম। এখানে এলে বৌদ্ধ বিহারের যিনি অধ্যক্ষ ছিলেন তিনি আমাদের চকলেট দিতেন, নাড়ু ও বাতাসা খাওয়াতেন, আমাদের মতো বাচ্চাদের দেখলে নানা ধরনের আপ্যায়ন করতেন।

তিনি বলেন, সুখবিলাস ভগবানপুর ধর্ম্মাঙ্কুর বিহারটি ১৯০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ১১৮ বছর আগের পুরনো এই বৌদ্ধ বিহারসহ আশপাশের বিহারগুলোর উন্নয়নে আমি অনেক কাজ করেছি। আমি মনে করি এটা আমার গ্রামের বৌদ্ধ মন্দির মানে আমার মন্দির। এবারও এই বিহারসহ পাশের দুই বিহারের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এভাবে রাঙ্গুনিয়ার প্রতিটি বৌদ্ধমন্দির একাধিকবার বরাদ্দ পেয়েছে।
তিনি বলেন, এই বিহারে আরও দুটি সোলার লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর বাইরে আরও কিছু প্রয়োজন থাকলে সেটিও করা হবে।

রাঙ্গুনিয়া বৌদ্ধ জনসাধারণের আয়োজনে অনুষ্ঠিত জ্ঞাতি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সুখবিলাস ধর্ম্মাংকুর বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ প্রজ্ঞাজ্যোতি মহাস্থবীর। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, রাঙ্গুনিয়া বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি জ্ঞানবংশ মহাথের, ঊর্ধ্বতন সভাপতি পরমানন্দ মহাথের এমএ, বাটাপাহাড় সর্বজনীন শালবন বিহার অধ্যক্ষ সুমনতিষ্য থের, ফলহারিয়া সদ্ধর্মলঙ্কার বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ দেবময় ভিক্ষু, পশ্চিম শিলক বনরত্ন বিহারের অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ বংশভিক্ষু, মাস্টার রঞ্জন বড়ুয়া, আশীষ বড়ুয়া, অধীর বড়ুয়া, রাজন তালুকদার শিবলু, বিধু মুৎসুদ্দী, টিটু বড়ুয়া প্রমুখ।

অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী পাশের সুখবিলাস সর্বজনীন লুম্বীনিকানন বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করেন এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ফানুস ওড়ান। এর আগে বিকালে তথ্যমন্ত্রী রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা চক্ষু হাসপাতাল ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন।

/টিটি/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শেষ ম্যাচে জিতে সুপার লিগে গাজী গ্রুপ
শেষ ম্যাচে জিতে সুপার লিগে গাজী গ্রুপ
কারাগার এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী
কারাগার এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী
তিন নম্বরে থেকে সুপার লিগে মোহামেডান
তিন নম্বরে থেকে সুপার লিগে মোহামেডান
মুখ থুবড়ে পড়েছে ইউক্রেনের অস্ত্র খাত
মুখ থুবড়ে পড়েছে ইউক্রেনের অস্ত্র খাত
সর্বাধিক পঠিত
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?