সদ্য বরখাস্ত হওয়া টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মামলাটি দায়ের করেন টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভী বাজার এলাকার সুলতান আহমদের স্ত্রী গোল চেহের।
কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৩ (টেকনাফ) এর বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন মামলাটি আমলে নিয়ে এএসপি সমমানের পুলিশ কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইনসাফুর রহমান জানান, গত ৪ জুলাই সকালে বাদী গোল চেহেরের দুই সন্তান সাদ্দাম হোসেন ও মো. জাহেদ হোসেনকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তাদেরকে ছেড়ে দেবে বলে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। অন্যথায় মৃত লাশ দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয় টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মশিউর রহমান। পরে পৃথকভাবে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু তাদের ছেড়ে না দিয়ে মো. জাহেদ হোসেনকে মিথ্যা অভিযোগেে আদালতে সোপর্দ করলেও মো. সাদ্দাম হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ মর্মান্তিক ঘটনায় মশিউর রহমানকে এক নম্বর ও প্রদীপ কুমার দাশকে দুই নম্বর আসামি করে ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ। এসময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে আটক করা হয়। দু'জনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত। ওই ঘটনায় ওসি প্রদীপসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা এবং পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষী কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছে।
আরও পড়ুন:
ওসি প্রদীপসহ ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেবে র্যাব
দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে তদন্ত কাজ চলছে: র্যাব ডিজি
সিনহা হত্যা মামলা: আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি
গণশুনানি শেষ: ২৩ আগস্ট প্রতিবেদন জমা দিতে পারে তদন্ত কমিটি
সিনহাকে হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন র্যাবের নতুন তদন্ত কর্মকর্তা
পাহাড় থেকে নামতে রাত হওয়ায় সিনহাদের ‘ডাকাত’ সন্দেহ করা হয়
আত্মসমর্পণকারী ইয়াবা পাচারকারীদের কাছেও আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন ওসি প্রদীপ!
‘সেদিন দুপুর থেকেই ফোর্স নিয়ে মেরিন ড্রাইভে অবস্থান করছিলেন ইন্সপেক্টর লিয়াকত’