করোনার কারণে চাকরি নাই, এখন চা বিক্রি করে সংসার চালাই। মাসে ৫০০ টাকা ভাড়ায় একটা দোকান নিয়েছি, ১০ হাজার টাকার মাল তুলছি। প্রতিদিন ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা বিক্রি হয়। আড়াইশ থেকে তিনশ টাকা লাভ থাকে। তা দিয়েই চলে আমার তিন সদস্যের সংসার। ঢাকায় চাকরি করতাম, ২৩ হাজার টাকা বেতন পেতাম, সংসার ভালোই চলতো। কিন্তু দেশে করোনা দেখা দেওয়ার পরে হঠাৎ চাকরিটা চলে যায়। গ্রামের বাড়িতে এসে দিশেহারা হয়ে পড়ি, কি খাব, কিভাবে বাঁচবো। উপায়ন্তর না পেয়ে অবশেষে চা-দোকান দিয়েছি’-কথাগুলো বলছিলেন সদর উপজেলার ভেড়ার বাজারের চা-দোকানি মো. হুমায়ুন কবীর।
গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় নোমান গ্রুপের জাবের অ্যান্ড জোবায়ের টেক্সটাইল মিলে এইচ.আর অ্যাডমিন শাখায় ট্রান্সপোর্টের ইনচার্জ ছিলেন হুমায়ুন কবীর। বেতন পেতেন ২৩ হাজার টাকা। তাতেই তিন সদস্যের সংসার ভালোই চলছিল তার। করোনা মহামারী দেখা দেওয়ায় পর ১১ এপ্রিল হঠাৎ কর্তৃপক্ষ তাকে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দেয়। এরপর তিনি গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার আড়পাড়ায় চলে আসেন। দুই মাস বেকার থাকার পর ভেড়ারহাট বাজারের দোকানটি ভাড়া নেন।
হুমায়ুন কবীর জানান, তার মত আরও অসংখ্য চাকরিজীবি বর্তমানে বেকার। ঢাকা ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে এসে দোকান, ব্যবসা, ভ্যানগাড়ি কিংবা ইজিবাইক চালানো শুরু করেছে। তবে তার আশা ঢাকায় যেখানে কাজ করতেন সেই কর্তৃপক্ষ আবার তাকে চাকরিতে যোগদানের জন্য ডাকবে। চাকরি ফিরে পেলে তার সংসারে আবার স্বচ্ছলতা ফিরে আসবে। আগের মত ভালোভাবে দিন কাটাবে।