মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে ইসরায়েল। কারণ হিসেবে ইসরায়েল জানিয়েছে, তেহরানের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি নির্মূলের লক্ষ্যে পৌঁছেছে তারা। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, ইরানে হামলা চালানোর মধ্য দিয়ে নিজেদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য অর্জন হওয়ার পরই দেশটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ‘দ্বিমুখী হুমকি’ দূর করেছে। ইসরায়েল ইরানের সামরিক নেতৃত্বকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং দেশটির সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু স্থাপনা ধ্বংস করেছে।
এছাড়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রতিরক্ষায় সমর্থন এবং ইরানের পারমাণবিক হুমকি নির্মূলে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানায় ইসরায়েল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনী তেহরানের কেন্দ্রস্থলে সরকারি স্থাপনাগুলোর ওপর প্রচণ্ড হামলা চালিয়েছে। শত শত বাসিজ সদস্যকে হত্যা করেছে।’ বাসিজ হলো ইরানি সরকারের একটি আধাসামরিক বাহিনী, যেটি দেশব্যাপী বিক্ষোভ দমনে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
এছাড়া আরও এক জ্যেষ্ঠ পারমাণবিক বিজ্ঞানীকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল।
সরকারের ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও মোসাদের প্রধানের সঙ্গে গতকাল রাতে আলোচনা করেছেন। মন্ত্রিসভার সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে নেতানিয়াহুর। সেখানে বলা হয়েছে, ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’–এ সব লক্ষ্যপূরণ হয়েছে ইসরায়েলের। লক্ষ্যের চেয়ে বেশি কিছু অর্জন হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তেহরানের আকাশসীমার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের কোনও ঘটনা ঘটলে ইসরায়েল শক্তভাবে জবাব দেবে।