নদী ভাঙনে ভিটে হারানো ও ভানভাসি লোকজনদের ত্রাণ সামগ্রী দিয়েছেন জেলা প্রশাসক আবু জাফর। বন্যার কোমর পানি ভেঙে দুর্গতরা এসে সরকারি ত্রাণ সামগ্রী নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) মহিষখোঁচা ইউনিয়নের চরগোবর্ধন ও আশেপাশের দুর্গত এলাকাগুলোতে ত্রাণ বিতরণ করেছেন তিনি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, তিস্তার পানিবৃদ্ধি পেয়ে আকস্মিক বন্যার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউএনও এবং জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পানিবন্দি পরিবারগুলোকে তালিকা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলায় পঞ্চম দফায় বন্যা কবলিত মানুষের জন্য ১১৫ মেট্রিক টন জিআর চাল ও ৮১০ প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের চরগোবর্ধন এলাকার পানিবন্দি পরিবারগুলোর মাঝে ৩শ’ প্যাকেট শুকনা খাবার ও ২৫ মেট্রিক টন জিআর (ত্রাণ) চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন বলেন, পঞ্চম দফায় বন্যা কবলিত মহিষখোঁচা ইউনিয়নের চরগোবর্ধনসহ অন্যান্য এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত প্রকৃত বানভাসি ও নদী ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোর মাঝে জেল প্রশাসনের বরাদ্দ করা ত্রাণ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসক মহোদয় ও জনপ্রতিনিধিদেদর সঙ্গে নিয়ে আমরা নৌকায় করে এসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছি। এ ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।